দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম আত্মসমর্পণের পর তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
এর আগে তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও তার পক্ষের আইনজীবীদের সাথে করে নিয়ে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছান।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ”র আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উচ্চ আদালতের দেওয়া এক মাসের সাজাভোগ করার জন্য বুধবার দুপুরে দিনাজপুর পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে জরিমানার এক লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে কড়া পুলিশি পাহারায় কারাগারে নেওয়া হয়।
এরআগে পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম দিনাজপুর শহরের জেল রোডের বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে দিনাজপুর পৌরসভায় আসেন। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে আদালতে যান। দিনাজপুর পৌরসভার টানা তিনবারের মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, ৩ আগস্ট দিনাজপুরে বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনকালে পৌর সৈয়দ মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্য দেওয়ার সময় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলায় হাইকোর্টে রায় দানকারী বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন এবং বিচারের রায় নিয়েও অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
পৌর মেয়রের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।বিষয়টি নজরে আসায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী। গত ২৪আগস্ট তলব আদেশে হাজির হয়ে বিচারপতিকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে ১২অক্টোবর পৌর মেয়রের উপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ শুনানি করে এক মাসের কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক সপ্তাহের কারাদন্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে সাত দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।