চিরিরবন্দর প্রতিনিধি\ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে প্রেমের সম্পর্কের জেরে স্বামী পরিত্যক্তা আইরিন আক্তার আলো (২০)নামে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মূল হত্যাকারী শাহাজুল ইসলাম তারিফ নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
গত ১৭অক্টোবর সন্ধ্যায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলার বোদার ময়দানদিঘী এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।তাকে ১৮অক্টোবর সন্ধ্যার পূর্বে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃত শাহাজুল ইসলাম তারিফ পঞ্চগড় জেলার বোদার ঝলঝলি এলাকার মো.আনারুল ইসলামের ছেলে এবং হত্যার শিকার আইরিন আক্তার আলো চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের নদীরপাড় এলাকার মো. আলম হোসেনের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা আলম হোসেন বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, হত্যার শিকার আইরিন আক্তার আলো স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন। মুঠোফোনের মাধ্যমে শাহাজুল ইসলাম তারিফের সাথে আলোর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘনঘন বিয়ের চাপ দিতে থাকায় এ নিয়ে আলো ও শাহাজুলের পরিবারের মধ্যে কয়েকদফা সালিশ বৈঠকও হয়।
নিহতের স্বজনরা জানায়, গত ১৫অক্টোবর রাতে আলো পার্শ্ববর্তী চাচার বাড়িতে পিকনিক খেতে যায়। রাত গভীর হলেও আলো বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরদিন ১৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রানীরবন্দর সমিতির ডাঙ্গার পূর্বপাশে ড্রেনের মধ্যে এক নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বজলুর রশিদ বলেন, এটি একটি ক্লুলেস হত্যাকান্ড ছিল। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীকে শনাক্ত করে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে আক্রোশের বশে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তাকে গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যার পূর্বে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।