হাকিমপুর প্রতিনিধি \ দিনাজপুরের হিলিসহ সর্বত্র পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারতে দাম বৃদ্ধি ও নতুন করে ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো চাহিদা মতো এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট) না দেওয়ার প্রভাব পড়েছে দিনাজপুরের পিঁয়াজের বাজারে।
দু’দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০-৫০টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পিঁয়াজ স্থলবন্দরে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০টাকা কেজি দরে। দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পাইকার ও কমিশন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল সোমবার দিনাজপুরের বাহাদুর বাজারেও পাইকারিতে প্রতিকজি পিঁয়াজ বেড়ে ১০৫-১১০টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে ১১০-১২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশী পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫টাকায়।
হিলি স্থলবন্দরের দেখা যায়, পূজার ছুটি পর বৃহস্পতিবার হিলি স্থলবন্দরে আমদানি করা পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি দরে। সেই পিঁয়াজ শনিবার স্থলবন্দরে বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০টাকা কেজিতে আর রোববার এসব পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০টাকা কেজি দরে।
রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের চার প্রদেশ (ইন্দোর, সাউথ, নাসিক ও নগর রাষ্ট্র) থেকে ১৫ ট্রাকে ৩৮৪ মেট্রিক টন পিঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
রফিকুল, স্বপনসহ কয়েক পাইকারী ব্যবসায়ী বলেন, পিঁয়াজের দাম দফায় দফায় বাড়ার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ৬০টাকার পিঁয়াজ এখন কিনতে হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রæপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ভারতে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধির প্রভাব দেশের বাজারে পড়েছে। পাশাপাশি রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করেছে ভারত। আগে ২০৫ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে ভারত সরকার সেটি বাড়িয়ে নির্ধারণ ৮০০ মার্কিন ডলার করেছে।এতে করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে প্রতি কেজিতে খরচ পড়বে ৮৮ টাকা।
দিনাজপুরের হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। পিঁয়াজ যেহেতু কাঁচাপণ্য তাই ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রæত বন্দর থেকে খালাস করে বাজারজাত করতে পারে সেজন্য সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।