যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা,স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডাঃ এম আমজাদ হোসেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দিনাজপুর-০৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যেতে চান। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তিনি চিরিরবন্দরে গড়ে তুলেছেন মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমেনা বাকী স্কুল এন্ড কলেজ। আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন এই চিকিৎসক ইতিমধ্যে সেবায় ভুমিকা রাখার জন্য অনেকের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সমাজসেবা ও জনসেবাই অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১ ভূষিত হোন ।
৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১২টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবের এম আব্দুর রহিম মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে ডাঃ আমজাদ হোসেন তার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ডাঃ আমজাদ হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহব্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে গিয়েছি। আমার পরিবারে ৩ জন সদস্য মুক্তিযোদ্ধা। আমজাদ হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ নম্বর সেক্টরের অধীনে দিনাজপুরে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১৫ টি পাকিস্থানী ক্যাম্পে গেরিলা আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছি। ফুলবাড়ির ভেরাম এলাকায় পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি দুইবার দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
এক প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ আমজাদ বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি দিনাজপুর-৪ আসনে মনোনয়ন দেন তা হলে তিনি এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক গুরুত্বপূর্ন উন্নয়নে ভুমিকা রাখবেন। তিনি বলেন দীর্ঘদিন থেকে এলাকার উন্নয়নে জনগনকে পাশে নিয়ে উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার অধিকারের জায়গা থেকে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সরাসরি নৌকা প্রতীক চাইবেন বলে জানান।
এর আগে ডাঃ আমজাদ হোসেন তার জীবনের বেড়ে উঠার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরেন। প্রেজেন্টশনে তিনি তার লেখাপড়া, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন,চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন কর্মসুচিতে অংশগ্রহন এবং চিরিরবন্দরে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবতন নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন উপস্খাপন করেন । মতবিনিময়ের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি জয়ন্ত চক্রবর্তী। এসময় মতবিনিময় সভায় উপস্তিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী হামিদুল হক, ডাঃ শান্তনু বসু ,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল প্রমুখ।