ইসকন মন্দিরে গিরিগোর্বধন পূজা ও অন্নকুট মহোৎসবে বিক্রমী রাম দাস
বিশ্ব ধরিত্রীকে রক্ষা করতে শ্রীকৃষ্ণ নিজের কনিষ্ঠ
আঙ্গুলে তুলে ধরেছিলেন গোবর্ধন পর্বতকে
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির গুঞ্জাবাড়ী দিনাজপুর এর আয়োজনে প্রতি বছরের মত এবারো গোবর্ধন পূজা ও অন্নকুট মহোৎসব ও নামহট্ট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির (ইসকন) গুঞ্জাবাড়ী-রাজবাটী’র অধ্যক্ষ বিক্রমী রাম দাস এর সভাপতিত্বে ১০ হাজার ভক্তবৃন্দের মাঝে ১৪শ ১১ আইটেমের নিরামিস ব্যঞ্জনে প্রশাদ বিতরণ করা হয়। ধর্মীয় আলোচনা, ভজন, কীর্তন, গীতা পাঠ এর মধ্য দিয়ে অন্নকুট মহোৎসব শুরু হয়। আলোচনা সভায় অধ্যক্ষ বিক্রমী রাম দাস বলেন, শক্তি আরাধনার অন্যতম উৎসব কালিপূজা। তার ঠিক পরেই বৈষ্ণবদের গুরুত্বপূর্ণ গোবর্ধন উৎসব এবং অন্নকুট। ভাগবৎ পুরান অনুযায়ী এদিন শ্রীকৃষ্ণ নিজের কনিষ্ঠ আঙ্গুল তুলে ধরেছিলেন গোবর্ধন পর্বতকে। প্রবল বৃষ্টি থেকে বৃন্দাবন শহরকে রক্ষা করতে অর্থাৎ এভাবেই বিশ্ব ধরিত্রীকে রক্ষা করেন বিধাতা। তাই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ উৎসর্গ করা হয় অন্নকুট। অন্ন মানে ভাত। কুট মানে পাহাড়। ভাতের পাহাড়। সঙ্গে অন্নান্য নিরামিশ পদ। বৈষ্ণবদের মধ্যে বল্লভ সম্প্রদায়, চৈতন্যের গৌড়য় সম্প্রদায়ী এবং স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায় পালন করে থাকে গোবর্ধন ও অন্নকুট উৎসব। তিনি আরও বলেন, ভাগবৎ পুরানে বলা হয়েছে, ইন্দ্র ও কৃষ্ণের দ্বৈরথেই জন্ম গোবর্ধন উৎসবের। ব্রজ ভুমিতে প্রচলিত ছিল হেমন্ত উৎসব।