গত ৫দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে হাইওয়ে সড়কের শহরের নিমনগর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডের ১৮ নম্বর রেলগেটের ১টি ব্যারিয়ার। ফলে ওই লেভেল ক্রসিং দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ও মানুষ। ৭ ডিসেম্বর রাতের কোনো এক সময় অজ্ঞাত গাড়ি ব্যারিয়ারটি ভেঙে পালিয়ে যায়।
এই গেট দিয়ে প্রতিদিন পঞ্চগড়-ঢাকা, ঢাকা-পঞ্চগড়, পঞ্চগড়-রাজশাহী, রাজশাহী-পঞ্চগড়, পঞ্চগড়-সান্তাহার, সান্তাহার-পঞ্চগড়সহ ১৪টি ট্রেন চলাচল করে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে গাড়ির ধাক্কায় একটি ব্যারিয়ারের মাঝখানে ভেঙে যাওয়ায় রশি দিয়ে গেট আটকানো হচ্ছে। এতে করে গেট দিয়ে ট্রেন পারাপারের সময় গাড়ি ও ছাত্রছাত্রীসহ জনসাধারণকে আটকে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গেটম্যানদের।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রেন আসার আগে গেটম্যান রশি টেনে গাড়ি থামার সংকেত দিচ্ছেন। তবে, তার সংকেত না মেনে ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পার হচ্ছে অসংখ্য গাড়ি চালক ও মানুষ।
পথচারী শরিফ হোসেন বলেন, ‘গাড়ির পাশাপাশি অনেক পথচারী ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পার হচ্ছে। ব্যস্ততম এই গেটে একটি ব্যারিয়ার না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আমরা দ্রুত ব্যারিয়ারটি মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।’
গেটম্যান ফারুক হোসেন বলেন, ‘ব্যারিয়ার না থাকায় ট্রেন পারাপারের সময় আতঙ্কে থাকি। রশি দিয়ে যানবাহন ও জন সাধারণকে আটকাতে হয়। কোনো গাড়ি ব্যারিয়ারটি ভেঙে পালিয়েছে। তবে আমরা কোনো গাড়িকে শনাক্ত করতে পারিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ব্যারিয়ার না থাকায় রশি টেনে দায়িত্ব পালন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি দুর্ঘটনা এড়াতে। তবে, ব্যারিয়ার পুনরায় মেরামত করা না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার অফিসের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার নারায় চন্দ্র রায় বলেন, ‘ব্যারিয়ার মেরামত করে দেওয়ার জন্য দায়িত্বরতদের জানিয়েছি। আজকালের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, শহরের নিমনগর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ১৮ নম্বর রেলগেটটি মহাসড়কে হওয়ায় এটিকে প্রথম শ্রেণির স্পেশাল রেলগেট হিসেবে ধরা হয়। এখানে ৬ জন গেটম্যান থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ২জন। তারা একজন রাতে ও একজন দিনে ডিউটি করেন।