মিজানুর রহমান,হরিপুর প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কে.বি ডিগ্রী কলেজ যেন অনিয়মের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত হয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগের পেক্ষিতে রংপুর বিভাগের পরিচালক রবিউল হক তদন্ত করে অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিনের দূর্নীতির সত্যতা পায় এবং আটটি সুপারিশ করেন।
তদপ্রেক্ষিতে তৎকালীন গর্ভনিং বডির সভাপতি এডভোকেট সোহরাব হোসেন প্রধান তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন।
অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন, রতন কুমার হাওলাদার নামে একজন ভূয়া ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করিয়া ভূয়া বিল তৈরী করিয়া এক লক্ষ আঠারো হাজার টাকা আতœসাত করেন। উক্ত টাকা তদন্তকারী কর্মকর্তা রবিউল হক
সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত তা জমা দেননি।
হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল দীর্ঘ ২৩ বছর কে.বি ডিগ্রী কলেজে ইতিহাস বিষয়ে প্রভাষক পদে চাকুরী করেন। গত ৩০.০৬.২০ ইং তারিখে উক্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে হরিপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন। অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন প্রধান এই সুযোগে এডক কমিটি থাকা অবস্থায় ইতিহাস বিষয়ে দ্বিতীয় নিয়োগ প্রাপ্ত প্রভাষক তসিরুল ইসলাম দীর্ঘ ১৮ বছর বিনাবেতনে চাকুরী করা সত্তে¡ও জালাল উদ্দিন প্রধান তার বেতন ভাতার ব্যবস্থা না করে ভুয়া নিয়োগ যোগদানসহ সমস্ত কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে মতিউর রহমান নামে একজনকে কে.বি ডিগ্রী কলেজের জানুয়ারি ২০২১ মাসে এম.পিও শীটে বিল বেতন আসে।
উল্লেখিত মতিউর রহমানের নিয়োগপত্র,যোগদানপত্র,নিয়োগ রেজুলেশন, নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ সহ সকল কাগজপত্র অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন প্রধান সরকারি অর্থ আতœসাতের উদ্দেশ্য করেন বলে নবাব আলী নামে একজন অভিভাবক ০৮.০২.২১ তারিখে শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তিনি অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন প্রধানকে সাময়িক বরখাস্ত করে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠুভাবে তদন্তের আহবান জানিয়েছেন।
হরিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও হরিপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান জানান যে, কে.বি ডিগ্রি কলেজে আমার চাকুরী জীবনে ২৩ বছরে মতিউর রহমান নামের কোনো শিক্ষক কে দেখিনি। কিভাবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অধ্যক্ষ এবং সভাপতি ভালো বলতে পারবেন।
সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য বহু চেষ্টা করেও সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত কে.বি ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক মতিউর রহমানের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে কে.বি ডিগ্রি কলেজের এডক কমিটির সভাপতি ও হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন প্রধানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তার স্ত্রী ও পরে তার ছেলে লাবিব মোবাইল ফোন রিসিভ করে জানান, তিনি অসুস্থ তাই কথা বলতে পারবেন না।