দিনাজপুরের ঐতিহাসিক রাজবাটী দরবার হলে নানা আয়োজনে বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজা জগদীশ চন্দ্র রায়ের স্মৃতিঘেরা ঐতিহাসিক রাজবাড়ির দরবার হলে শিল্পীদের মিলন মেলার মধ্য দিয়ে বাঙালীর ঐতিহ্যকে সামনে রেখে রচনা হলো সেতুবন্ধন। অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ গড়ার শপথে বাঙালী সংস্কৃতির পটভূমি রচনার দ্বারা নবান্ন উৎসব ভরে উঠলো কবি, শিল্পী, সাংস্কৃতিক কর্মীদের আনন্দমুখর অংশগ্রহণে বাঙালীর মিলনমেলা।
গান-নাচ-কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি নাটক মঞ্চস্থ হলো। নাটকে রাজা জগদীশ চন্দ্র রায়ের ভূমিকায় বিধান দত্ত ও রাণী ¯েœহলতার ভূমিকায় মাসুমা খাতুন রাজবাড়ির জড়াজীর্ণ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য উপস্থিত সুধিজনকে অনুরোধ করেন। দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী রাজবাটীকে সংরক্ষণের জন্য সবাইকে শপথ নেওয়ার অনুরোধ করেন।
শনিবার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দিনাজপুরের আয়োজনে এবং রাজবাটী দোলনচাঁপা সঙ্গীত বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় জোটভুক্ত ২৬টি সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব নবান্ন উৎসব ও মিলনমেলা।
সম্মিলিত সাস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক রহমত উল্লাহ রহমত।
এই নবান্ন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন, প্রবীন রাজনীতিবিদ আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, দেবাশীষ ভট্টাচার্য, মিহির ঘোষ, ড.মাসুদুল হক, রবিউল আউয়াল খোকা, তাপস মজুমদার, নেযাম উদ্দিন রয়েল, অধ্যক্ষ মোজাম্মেল বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা সাইফুদ্দিন,রাশেদ পারভেজ,ড.টিটো রেদওয়ান, সিফাত-ই-জাহান শিউসহ ২৬টি জোটভুক্ত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া ছিলেন কোষাধ্যক্ষ প্রদীপ ঘোষ, সহ-সাধারন সম্পাদক সনৎ চক্রবর্তী লিটু প্রমুখ।