বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার মহবতপুর গ্রামে অসময়ে বারোমাসি কার্টিমন জাতের আমের ফলন ফলিয়ে এলাকাবাসীর কাছে আলোচনার কেন্দ্রে পরিনত হয়েছেন সেতাবগঞ্জ মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুকমল রায়।
উপজেলার ২নং ইশানিয়া ইউনিয়নের মহবতপুর গ্রামে নিজম্ব জমিতে প্রায় ৬ শতাধিক গাছে কার্টিমন জাতের হলুদ বর্নের পাকা টসটসে সুস্বাদু আম দেখে সকলের মন জুড়িয়ে যায়। ভরা শীত মৌসুমে পাকা আম দেখতে পেয়ে অনেকেই আমের সাথে সেলফি তুলছেন কেউবা আম কিনে অসময়ে আমের স্বাদ গ্রহন করছেন।
সহকারী অধ্যাপক সুকমল রায় জানান, ইতোমধ্যে তিনি স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩০০ টাকা কেজি দরে বাগানের আম বিক্রি করছেন। এই অসময়ে আম কেন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটাই ব্যতিক্রম, আমার বাগানের অধিকাংশ আম গাছ বছরে তিন বার ফলন দিয়ে থাকে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে যখন গাছে কোন ফল থাকেনা তখন আমার এই বাগানে পাকা টসটসে আম দেখতে অনেকেই ভীর করছে। আমি আশা করছি এই বাগানটি আরো প্রসারিত করে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে অসময়ের আম তাদের হাতে তুলে দিতে চাই। এই পর্যন্ত তিনি ২০ থেকে ২৫ মন আম বিক্রি করেছেন। এখনো গাছে বেশ কিছু আম দৃশ্যমান আছে আবার কিছু গাছে নতুন করে মুকুল আসছে। আমের স্বাদ নিতে এখন আর বছর অপেক্ষা করতে হয় না। ইচ্ছে করলেই বছরে তিনবার আম খাওয়া যায়। সহকারী অধ্যাপক সুকমল এর আম বাগানে বিভিন্ন দেশের উন্নত জাতের চাকাপাতা, আলফার নো, মিয়াজাকি, চিয়াংমাই, রেড পানসার, বেনানা ম্যাংগো সহ বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে।