বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বোচাগঞ্জ সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মনজুর আলমের সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও তার শীঘ্রই অপসারণের দাবীতে বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক সমিতির শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষথেকে বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পাল কে স্মারকলিপি প্রদান করেন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ আক্কাস আলী। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয় গত ২০১৪ জুন হতে ২০২০ পর্যন্ত সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার অনুসন্ধান ও সরবরাহকৃত কলেজের হিসাবের পর্যবেক্ষণ ও অভ্যন্তরীন নিরিক্ষা পূর্বক অডিট প্রতিবেদন ২০২০ গত ৮ ডিসেম্বর কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পাল এর নিকট পেশ করা হয়।
উক্ত প্রতিবেদনে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মনজুর আলম কলেজের রশিদের মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ ক্যাশবুকে না দেখিয়ে মূল রশিদের টাকার পরিমাণ কার্বন কপিতে পরিবর্তনের মাধ্যমে জালিয়াতি, কলেজের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে একই রশিদে একাধিকবার ফরম পূরণ সহ নানাবিধ অনিয়মের মাধ্যমে সর্বমোট ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৭০ হাজার ১ শত ৭৮ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তারা এই দুর্নীতিগ্রস্থ অধ্যক্ষ মোঃ মনজুর আলম ও অফিস সহকারী নির্মল চন্দ্র দেবশর্ম্মার শীঘ্রই অপসারণ সহ আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবী জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় অর্ধশর্তাধিক শিক্ষক কর্মচারী অংশ গ্রহণ করে। অপরদিকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১.৩০ মিনিটে সেতাবগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করলে শিক্ষকরা বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে ও তার দূর্নীতি প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে কলেজের সকল শিক্ষকরা তাকে তার অফিস কক্ষে বেলা ৩ টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে। উল্লেখ্য গত ৫ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে উক্ত অধ্যক্ষ মনজুর আলমের বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট ৭ টি অভিযোগের ভিত্তিতে চলমান পুনঃ তদন্তে জেলা সমন্বিত কার্যালয় দিনাজপুর দুদকের উপ-পরিচালক এ.এইচ আশিকুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মোঃ ওবায়দুর রহমান সহ একটি তদন্ত দল সেতাবগঞ্জ কলেজে আসেন। তদন্তকালে কলেজের অভ্যন্তরীন অডিট কমিটির ৭জন সদস্যকে গত ১০ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে দুদকের জেলা কার্যালয় তলব করেন। এখানে অডিট কমিটি লিখিতভাবে উপ-পরিচালকে নিকট উক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৭০ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সহ দালিলিক প্রমাণাদি দাখিল করেন। অপরদিকে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মনজুর আলমকে উল্লেখিত অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়ে লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য তলব করা হয়।
এব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ মনজুর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। এজন্য তিনি পুনরায় তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন।