হাকিমপুর প্রতিনিধি\ দিনাজপুরের হিলিতে কেজিতে আদার দাম কমেছে ৫০ টাকা।আর রসুন কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এদিকে কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে কিছু সবজির দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষেরা। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে, সপ্তাহ ব্যবধানে বেগুণের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা দরে, এক সপ্তাহ আগে করলা ৮০ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা কমে ৪০ টাকা কেজি দরে,মূলা ৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে পটল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ৩০ টাকা কমে ৪০ টাকা কেজি দরে, এক সপ্তাহ আগে শিম ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও তা এখন ৪০ টাকা কেজি দরে, এক সপ্তাহ ধরে মিষ্টি লাউ ৪০ টাকা কেজি দরে, পাতাকপি ২০ টাকা কেজি দরে, ফুলকপি ৪০ টাকা কেজি দরে, এক সপ্তাহ আগে শসা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা ৩০ টাকা কেজি দরে, পেঁপা ৩০ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়ে এখন ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশিয়া টমেটো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাঁচা মরিচ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী আলু কেজিতে কমছে ১০ টাকা এখন ৫০ থেকে ৬০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা দেশীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতা শাহিন হোসেন বলেন, সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সব ধরণের সবজির দাম কমতে শুরু করছে। আর কয়েকদিন পর ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্য সবধরণের সবজি পাওয়া যাবে। খুচরা আদা ও রসুন বিক্রেতা মো: মোকারম হোসেন জানান, দেশি আদার সরবরাহ কম থাকলেও ভারত থেকে আদা আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে আমদানিকৃত আদা বিক্রি করছি ২০০ কেজি দরে, আর সেই আদা আজ বিক্রি করছি ১৬০ টাকা কেজি দরে। আর দেশি আদা বিক্রি করছি ২১০ টাকা কেজি দরে। আজ সেই আদা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এতে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে আদার দাম। গত সপ্তাহে চায়না রসুন বিক্রি করছি ১৮০ টাকা কেজি দরে, আর দেশি রসুন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আজ সেই চায়না রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে, আর দেশি রসুন আজ ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এতে করে কেজি প্রতি চায়না ও দেশি রসুন ৬০ টাকা বেড়েছে।