বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আনিকা (১৩) নামের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সেনগ্রাম গ্রামের দাদা, আতিয়ার রহমানের বাসা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের সেনগ্রাম গ্রামের ঢাকা শ্রীরীপুর গার্মেন্টসে কর্মরত আমিনুল ইসলামের মেয়ে আনিকা ও সনকা দ্বিমুখী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে,
নিহত আনিকা ও তার ছোট ভাই তাদের দাদা-দাদীকে নিয়ে সেনগ্রাম ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাসায় ভাড়া থাকত।
মঙ্লবার বিকেলে আতিয়ার বাসায় ফিরে স্কুলছাত্রী আনিকা ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ দৃশ্য দেখে দাদী আরঞ্জুরা বেগম চিৎকার করে এবং মৃতদেহটি ঝুলন্ত অব্যস্থায় নামায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশকে খবর দেয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে বীরগঞ্জ থানার এসআই দিলীপ কুমার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, মরদেহের মাটিতে সহানো ছিল। এতে ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা এ নিয়ে বেশ সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করছি। ঘটনার পর ওই রাতেই স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল প্রকৃত মৃত্যুর কারণটি গোপন করে ছাত্রীর পিতাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লাশ পোস্ট মেডাম না করার পরামর্শ দেন।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, এখনই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে মৃতের বাবা আমিনুল বুধবার সকালে ঢাকা থেকে এসে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের না করাই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।