বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে খলশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং একই পরিবারের ১৭ জন সকালে খাবার খেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অসুস্থ রোগীদের ভাষ্য সকালে খাবার খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে। অসুস্থরা হলেন- খলশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্র নাথ(৫৫), স্ত্রী প্রমিলা রানী(৪৫), ছেলে রিপন (২৮), স্ত্রী গীতা রানী (২৬), ছেলে আদিত্য (৫),জগদীশের ছেলে চন্দন (২৪),ছত্র মহন রায়ের ছেলে হরিপদ রায়(৩৩),প্রশান্ত (২২),কৃপা নাথ(২২),মৃত,ফুল চরণের স্ত্রী ফুল মনী বেওয়া(৬০),দিনোবন্ধু রায়ের মেয়ে পতি রানী(১৫),মহাদেবপুর গ্রামের অজয় রায়ের স্ত্রী জয়ন্তী রানী(৩৫),মৃত মুবন্দ রায়ের স্ত্রী কালী দাশী(৬৫),মৃত দর্প চাঁদ রায়ের মেয়ে শর্মিলা (৬৫),কালী দাসে রায়ের ছেলে অজয়(৪০),গোলাপগঞ্জ গ্রামের গিরিশ রায় মেয়ে মিনতি (৩৭) ও মহাদেবপুর৷ গ্রামের অনুকূল এর স্ত্রী মিনিতা (৫০)।
খলশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্র নাথ বলেন, (১০ জানুয়ারি -২০২৪) বুধবার সকালে নিজ বাসভবনে মাছ,
সবজি সহ অন্যান্য দিয়ে খাওয়ার পরই পেটে ব্যথা শুরু হয়। পরে মাথা ঘুরাসহ নানা সমস্যা দেখা দিলে পরিবারের ১৭ জন তাৎক্ষণিক
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতালে) চিকিৎসা নেওয়া হয়।
তাদের মধ্যে দুইজনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) খোদাদাদ সুমন, ওসি মজিবুর রহমান সহ মেডিকেল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার
আফরোজ সুলতানা লুনা বলেন, বিষক্রিয়ার কোন আলামত ছিল বলে মনে হয় না, তবে খাদ্যে কোন চেতনা নাশক মিশানো ছিলো কিনা তা পরীক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
সকলেই আশংকা মুক্ত তবে ফুলমনি নামের একজন এখনো পর্যবেক্ষণে আছে, প্রয়োজনে তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।