দিনাজপুরের হাকিমপুরে একটি অটোরাইস মিলে ডাকাতির ঘটনায় ৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের প্রেক্ষিতে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে তাদেরকে আটক করা হয় । এসময় ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-দিনাজপুর সদর উপজেলার করিমুল্লাহপুরের আব্দুর রহিম ওরফে পোড়া রহিম (৬৮), ৬ নম্বর উপশহর এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে শামীম ওরফে পবন (৩০), দিনাজপুর পৌরসভার কসবা এলাকার মৃত আব্দুস জব্বারের ছেলে আব্দুস সোহাগ (৩৪), হাকিমপুর উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার মৃত ঈমান আলী মিস্ত্রির ছেলে আলিম হোসেন (৪০), চিরিরবন্দর উপজেলার ভাবকি এলাকার ফরিদুল ইসলাম ওরফে মাসুয়া (৪৫) এবং সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের নিমনগর এলাকার মৃত কান্দু মাসুদের ছেলে বকুল হোসেন(৫০)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, গত ১৫ফেব্রæয়ারি হাকিমপুর উপজেলার বাসুদেবপুরে শ্রী গনেশ প্রসাদ সাহার ইউনাইটেড রাইস মিলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে হাকিমপুর ও কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট বুধবার দিবাগত গভীর রাতে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬জনকে আটক করে। উদ্ধার হয় দেশীয় অস্ত্র একটি কুড়াল, একটি চাপাতি, দুটি টর্চ লাইট, তিনটি বাটন মোবাইল ফোন, দুটি ট্রাভেল ব্যাগ ও নগদ ৯৩০০ টাকা।
আটককৃতরা সকলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে গরু চুরি , মাদক সংক্রান্তসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহিমের নামে আগের পাঁচটি, শামীমের নামে ১৪টি, আব্দুস সোহাগের নামে ১০টি, আলিম হোসেনের নামে একটি ও ফরিদুল ইসলামের নামে একটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনের সময় দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুনসহ পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, হাকিমপুরে শ্রী গনেশ প্রসাদ সাহার ইউনাইটেড রাইস মিলে ডাকাতির ঘটনার পরপরেই অফিস কক্ষের একটি সিসি টিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ডাকাতির পূর্বে তারা মিলের ম্যানেজার ও নৈশপ্রহরীসহ চারজনকে হাত পা বেঁধে রাইসমিলের ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন লকার ভেঙে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার গভীর রাতে ৬জনকে আটক করা হয় ।