হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে কর্মকর্তাগণের জন্য “ডি-নথি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ” কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ইসিই বিভাগের কম্পিউটার ল্যাবরেটরী রুমে উক্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন আইটি সেলের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর মোঃ মেহেদী ইসলাম, সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার। সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ মইনুর রহমান। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের প্রোগ্রামার জনাব মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও কম্পিউটার প্রোগ্রামার জনাব মোঃ আতিকুর রহমান।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান উপস্থিত সকলকে পবিত্র রমজান মাস ও স্বাধীনতার মাসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদদের। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘদিন লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৪৬৮২ দিন তিনি জেলখানায় কাটিয়েছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল প্রথমত একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তারই রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরস‚রি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন প্রশাসনে এক সময় লাল ফিতার দৌরাত্ম্য তথা স্থবিরতা ছিল, এর থেকে মুক্তি দিয়েছে ডি-নথি। ডি-নথির মাধ্যমে যেকোন সময় যেকোন স্থানে থেকেই অফিসের কাজ করা যায়। এর ম‚ল উদ্দেশ্য হলো প্রশাসনে গতিশীলতা নিয়ে আসা। প্রধানমন্ত্রী শাসক হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। আমাদের প্রত্যেককেও সেই একই মানুসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, যে প্রথম ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় ডি-নথিতে প্রবেশ করেছে তার মধ্যে হাবিপ্রবি একটি। এটি আমাদের জন্য গর্বের। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ভ‚মিকা রাখতে হবে। পরিশেষে এ ধরণের প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য তিনি আইকিউএসি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ ই মার্চ পর্যন্ত ধাপে ধাপে কর্মকর্তাবৃন্দের জন্য এবং ১৪ই মার্চ কর্মচারীদের জন্য “ডি-নথি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ” কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।