বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় শীতের শেষে বইছে শুষ্ক আবহাওয়া,পাল্টে যাচ্ছে প্রকৃতি। যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। চারদিকে এখন সবুজের সমাহার। এরই মধ্যে সবুজ পাতার ফাঁকে দুলছে স্বর্ণালীরূপের আমের মুকুল। এই মুকুলের বাতাসে মৌ মৌ গন্ধে মুখর বীরগঞ্জ। ফাল্গুনের ছোঁয়ায়, পলাশ -শিমূলের বনে লেগেছে আগুন, রাঙা ফুলের মেলা। শীতের তীব্রতা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারো ফিরে এলো প্রকৃতির বুকে ঋতুরাজ বসন্ত। রঙিন বন ফুলের সমারোহে বাংলা সেজেছে বর্ণিল সাজে। তেমনি নতুন সাজে যেন সেজেছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার আম গাছগুলো। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে আম্র মুকুলে ভরপুর আর গন্ধে মুখরিত এ উপজেলাজুড়ে। প্রকৃতিগত নিজস্ব মহিমায় মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে গাছগুলো। প্রায় ৬০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, অন্য ফলের চেয়ে আম ফলটি এখানে অনেক সুস্বাদু ফল হিসেবে বিখ্যাত হওয়ায় বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয় যার মধ্যে হাড়িভাঙ্গা,ল্যাংড়া, আম্রপালি, মল্লিকা, সুর্বণ্য রেখা, মিসরি ভোগ, কেসি- ওয়াই, চোষা, বাড়ি- ফোর, গৌর- মতি উল্লেখযোগ্য। আম খাওয়া ছাড়াও এটি বাণিজ্যিকভাবে হাট-বাজারে বিক্রি করে এই এলাকাগুলোর অনেক আমচাষী কৃষকের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। তাই আম চাষে লাভবান হওয়ায় বেশি বেশি করে আমের চারা রোপণ ও বাগান লাগানোর প্রতি সাধারণ কৃষকেরা আম চাষের দিকে অধিকহারে ঝুকে পড়ছেন। ভালো ফলন পাওয়ার জন্য আমচাষী ও বাগান মালিকরা নিয়মিতভাবে বাগানের পরিচর্যা করে আসছেন, যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোনো প্রকারের রোগ সৃষ্টি না হয়। বীরগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের জেলখানাপাড়ার আমচাষী কালাম মাস্টার ও ৫ নং ওয়ার্ডের বাগান ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ মামুন সহ আরো অনেকেই জানান, তাদের প্রত্যেকেরই বিভিন্ন জাতের আম গাছের বাগান রয়েছে। এই বাগান থেকে উপজেলার চাহিদা মিটিয়েও বাণিজ্যিকভাবে হাট-বাজারে বিক্রি করে অনেক দরিদ্র পরিবারে সফলতা এসেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতিবছরে আমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আমচাষীসহ সকল প্রকারের চাষাবাদের জন্য কৃষকদের মাঝে নিয়মিতভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।