বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ টেরাকোটা অলঙ্কারণের বৈচিত্র্য ইন্দো -পারস্য – ভাস্কর্য কৌশল ও শিল্প মহিমায় বিস্ময় জাগানিয়া ঐতিহাসিক কান্তজীউ মন্দির কে ঘিরে পর্যটন এলাকা গড়ে তুলতে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সাপেক্ষে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে। উত্তর অঞ্চলের রংপুর বিভাগের দিনাজপুরের জেলার কাহারোল উপজেলায় কান্তজীউ মন্দিরটি অবস্থিত। জেলা শহর থেকে মন্দিরে যাওয়ার জন্য ঢেপা নদীর উপর তৈরি হয়েছে সেতু। যদি ওই সেতুটি নির্মাণ করা না হতো তাহালে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে কান্তজীউ মন্দিরটি এক নজর দেখার জন্য দর্শনার্থীদের যেতে হতো। আগে দর্শনার্থী বা পর্যটকরা এসে সেখানে থাকার কোন পরিবেশ ছিল না। সে কারণে মন্দিরের পাশ্বেই নির্মাণ করা হয়েছে ঐতিহ্য জানাতে রেস্ট হাউজ। দর্শনার্থীদের ইতিহাস- ঐতিহ্য জানাতে নির্মাণ করা হয়েছে মিউজিয়াম। কেনাকাটার সুবিধার্থে স্থাপিত হয়েছে নানা ধরনের রকমারি মার্কেট। উন্নয়ন করা হয়েছে রাস্তা। শুধু তাই নয়,পার্শ্ববর্তী শিবমন্দির ও নতুন করে সংস্কার করে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। দিনাজপুর -১ (বীরগঞ্জ -কাহারোল) আসনে সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপালের দীর্ঘ দিনের চেষ্টায় সংস্কার ও উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। দিনাজপুর জেলা শহর হতে প্রায় ২০ থেকে ২১ কিলোমিটার উত্তরে এবং কাহারোল উপজেলা সদর হতে ৭ কিলোমিটার আগে সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর – পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে প্রাচীন টেরাকোটার অনন্য নিদর্শন কান্তজীউ মন্দির অবস্থিত। এব্যাপারে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল হাসান জানান,প্রতœতত্ত্ব বিভাগের আওতায় কান্তজীউ মন্দির, নয়াবাদ মসজিদ সংস্কার ও এর আশপাশের স্থাপনা নির্মাণ নিঃসন্দেহে পর্যটন নগরীকে সমৃদ্ধ করেছে। এটি এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। তবে মন্দিরে আসা দর্শনার্থী ও পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে মন্দিরের পাশে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের জোর দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীরা।