বীরগঞ্জ প্রতিনিধি \ বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো থাকার পরেও দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থেকে মালয়েশিয়া, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৩০০মে.টন কয়েক জাতের আলু রপ্তানী হয়েছে। এই রপ্তানী চলমান আছে বলে জানান বীরগঞ্জ কৃষি অফিসের কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম।
ধান ও অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষে লাভ বেশি হওয়ায় বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় এই অঞ্চলের চাষীরা বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করে এবার ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। তবে আলু চাষে বর্তমান বাজারে কীটনাশক, সার,বীজসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেশী থাকায় খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান চাষীরা।
এরপরেও এবছর দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণের আলু চাষ হয়েছে। এই এলাকার আলু দেশের বাজার ছাড়াও মালয়েশিয়া, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে আলুর ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম পাওয়ায় খুশি আলু চাষীরা।
বীরগঞ্জের মোহাম্মদপুর ইউপির আলু চাষী ওমর ফারুক বলেন, এবছর ১১বিঘা সানসাইন ও কুমরিকা জাতের আলু চাষ করেছি। আলু চাষে প্রায় সাড়ে ৬লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে এবং আলু বিক্রি করেছি ১১লক্ষ টাকার মতো। তবে বৈরী আবহাওয়ায় গতবারের থেকে আলুতে স্প্রে, কীটনাশক বেশি প্রয়োগ করায় খরচ একটু বেশি হয়েছে। তারপরেও এবছর এ এলাকায় হতে আলু বিদেশে যাওয়ায় আলুর ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দামে বিক্রি করতে পারায় পর্যাপ্ত লাভ হয়েছে।
এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯৫৬২হেক্টর জমিতে আলুুচাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী অর্জিত হয়েছে। ব্যাপকহারে আলু চাষ এবং দাম ভালো থাকায় লাভবান চাষীরা। এবছর বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে আলুবাড়ী, সাউথব্রিজ, এগ্রোনমি, থিঙ্কু সাপ্লাই নামক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়া, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে সানসাইন, কুমরিকা ও সান্তনি জাতের আলু রপ্তানি করছে। এ পর্যন্ত তারা ১৩০০ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করেছে এবং এটি চলমান রয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে তারা ২৭-২৮টাকা কেজি দরে আলু ক্রয় করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। আলুর রপ্তানিতে বাড়তি দাম পাওয়ায় চাষীরাও খুশি। আর আলু চাষীদের সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ প্রদানে কৃষি অফিস মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।