মৌ-বাক্স বসিয়ে সরিষা, লিচু, কালোজিরা, মিষ্টি কুমড়া থেকে মধু আহরন করা গেলেও এবার মেহগনি বাগান থেকে মধু সংগ্রহ করে তাক লাগিয়েছে মৌ-খামারী মোসাদ্দেক হোসেন। মেহগনির বাগানের পাশে ৬০টি মৌ-বাক্স থেকে ৫০০কেজি মেহগনি ফুলের মধু আশা করছেন। যারা বাজার মূল্য প্রতি কেজি ৫০০ টাকা।
দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় অনেক মেহগনি বাগানে রয়েছে। এখন লিচু গাছের মুকুল শেষে গুটি হওয়ায় আর মধু আহরন হচ্ছে না। এই কারণে এবার মেহগনি বাগানের অসংখ্য ফুল থেকে মধু আহরন। তবে এটি স্বল্প সময়ে সংগ্রহ করতে হবে। চলতি মাসের ১৫ এপ্রিল থেকে এই মেহগনির ফুল থেকে মধু আহরন শুরু হয়েছে। এটি ১৫-২০দিন সময় পর্যন্ত মধু পাওয়া যাবে। আধুনিকতার সঙ্গে মৌচাষেও এসেছে বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা। মৌমাছিকে বাক্সে পালন করে মৌ-পালন করছেন আধুনিক মৌ-খামারীরা। তেমনই একজন মৌ-পালক মোসাদ্দেক হোসেন। বছরে মধু উৎপাদন করেন প্রায় ২টন। সরিষা, লিচু, কালোজিরা, মিষ্টি কুমড়া,বরই থেকে মধু আহরন করলেও এবার তিনি মধু উৎপাদনের জন্যে মেহগনি বাগানে পাশে বসিয়েছেন মৌ-বাক্স।
দিনাজপুর সদরের কেবিএম মহাবিদ্যালয়ের জায়গায় বড় মেহগনির বাগান রয়েছে। এরপরেও পাশে মাশিমপুর ছাড়াও রাস্তার পাশে রয়েছে মেহগনি গাছ। এখন প্রতিটি মেহগনি গাছে ফুল এসেছে। অতীতে তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং উদ্ভিদতাত্তি¡ক গবেষণার মাধ্যমে বরই ফুলের মধু পেয়েছেন। তাই এবার তিনি মেহগনির ফুল থেকে মধু আহরনে বসিয়েছেন মৌ বাক্স।
উদ্ভিদবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাশ করা সফল মৌ-খামারী মোসাদ্দেক হোসেন জানান, সরিষা লিচুর মতই মৌমাছিরা মেহগনির ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে সঞ্চয় করে। এখন আর লিচুর মুকুল নেই। তাই মৌমাছিকে বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি এই মেহগনির ফুল থেকে মধু আহরনে বাক্স বসিয়েছি। তবে এই মধু আহরনের সময়কাল স্বল্প সময়। চলতি ১৫ এপ্রিল থেকে মাসের শেষ সময় পর্যন্ত এই মেহগনি ফুল থাকবে। এই মেহগনির ফুলের মধু আকর্ষনীয় রং এবং সুমিষ্ট হয়। এর বাজার চাহিদাও রয়েছে। মেহগনিব ফুল থেকে প্রায় ৫০০কেজি মধু প্রাপ্তির প্রত্যাশা করছি, যারা বাজার মূল্য প্রতি কেজি ৫০০ টাকা।