সংবাদদাতা,হরিপুর(ঠাকুরগাঁও)
উন্নয়নের ধারা ও শান্তি অব্যাহত রাখতে বর্তমান চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল পুনরায় চেয়ারম্যান হতে চান এমনটাই দাবী হরিপুর উপজেলা বাসীর। অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছেন। তিনি তৃনমূল আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারনাসহ জনগনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে যাচ্ছেন। হরিপুরে ৬ টি ইউনিয়ন রয়েছে । ২০১৯ সালে হরিপুর উপজেলায় নৌকা প্রতিকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর তিনি হরিপুরে ব্যাপক উন্নয়নে কাজ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তার পরেও বৃহৎ এই উপজেলার অনেক কাজ এখনো বাকী রয়েছে। পুনরায় নির্বাচিত হলে তিনি হরিপুরের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে স্মার্ট হরিপুর গড়তে কাজ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
স্থানীয় তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী জানান, অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। করেনাকালীন সময় যখন অনেকেই ঘর থেকে বের হতে ভয় পেয়েছেন তখনো হরিপুরে করোনায আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাড়িয়েছেন। ওই সময় হরিপুরে হাজার হাজার মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন। সমস্যায় থাকা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন। সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে হাজারো মানবিক কাজ করায় হরিপুরবাসীর কাছে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। । তার বিরুদ্ধে হরিপুরে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও সালিশ বাণিজ্যের কোন অভিযোগ নেই। তিনি সব সময় আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তে ঐক্য থাকায় আজ আমারাও তার পক্ষ ঐক্যবদ্ধ।
জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার পর অনেকের চরিত্র পাল্টে গেলেও অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল ব্যতিক্রম। তিনি আওয়ামী লীগের টিকেট নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও তিনি হন সবার চেয়ারম্যান। সাদা মনের নিরঅহংকারী অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল হরিপুরবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকার পরেও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। দলীয় প্রতিটি কর্মাকান্ডে তার সরব উপস্থিতি সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর চোখের মনিতে পরিণত হয়েছেন। ক্লিন ইমেজের নেতা হওয়ায় অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুলকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় তৃনমূল সর্বদলীয় ভাবে সমর্থন দিয়েছেন।
হরিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ২০১৯ সালে হরিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নৌকা প্রতীক দিয়ে হরিপুর উপজেলা বাসীর খেদমত করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। হরিপুরের প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন উন্নয়ন শান্তি ছড়িয়ে দিয়েছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাকে হরিপুরবাসী পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয় করে তাহলে আমার জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার দারিদ্র্য মুক্ত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে হরিপুর উপজেলাকে একটি স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
প্রসঙ্গত, ১ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। হরিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়রাম্যান অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম শামীম ফেরদৌস টগর,উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম প্রার্থী রয়েছেন।
