বৈশাখী উৎসব পরিষদ দিনাজপুরের আয়োজনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বড় ময়দানস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত বিদ্যালয় দোলনচাঁপা সঙ্গীত বিদ্যালয়, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ এবং দিনজপুরের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নবরূপীর পরিবেশনায় তৃতীয় দিনের আয়োজন পৃথক পৃথক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
দোলনচাঁপা সঙ্গীত বিদ্যালয়ের সাধারন সম্পাদক প্রদীপ ঘোষের তত্ত¡াবধানে প্রিয়াংকা দাস চৈতী, প্রজ্ঞা ঘোষ, স্মৃতি, ঝুমু, তুর্য্য, ঐশি সঙ্গীত পরিবেশন করেন। জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের পক্ষে সুমন কান্তি রায় এর পরিচালনায় ¯েœহা, প্রাপ্তি, সৃজনা, পুর্ণতা, দিয়া, ভাবনা সঙ্গীত পরিবশন করেন। তবলায় ছিলেন তুষার দাস রিপন। এছাড়া দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নবরূপীর আয়োজনে নবরূপীর সধারন সম্পাদক সিফাত-ই-জাহান শিউ, সঙ্গীত সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহমেদ ও নির্বাহী সদস্য মানস ভট্টাচার্যের সার্বিক তত্ত¡াবধায়নে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রণজিৎ রায়, শিউলী দে, নেহারিকা সরকার, সুসমি মহন্ত, সিলভিয়া তাসনিম, মেধা রায়, গ্রেসী মুর্মু, আফিয়া নিতু, কামাল, লাবনী রায়। তবলায় ছিলেন আমির আলী ও আনোয়ার হোসেন আঙ্গুর। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেলা কমিটির সদস্য সচিব সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চু বলেন, বাঙালীর ঐতিহ্য এবং গর্বের উৎসব হলো পহেলা বৈশাখের উৎসব। এর ফলে আমাদের আগামী প্রজন্ম সন্তানদের কাছে বাঙালীর উৎসব স্বত্তা তাদের হৃদয়ে লালিত হবে। সেইসাথে তাদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, মেলা কমিটির আহবায়ক মোঃ শফিকুল হক ছুটু, সদস্য রবিউল আউয়াল খোকা, প্রদীপ ঘোষ, কমল কুজুর, নিরঞ্জন হিরা, সনদ চক্রবর্তী লিটু, মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদুল্লাহ ও ওয়াসিম আহমেদ শান্ত। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রভাষক হারুন-উর-রশিদ।