ঠাকুরগাঁও :
ঠাকুরগাঁওয়ে ভাঙ্গা হাতে অস্ত্রপচার করতে গিয়ে চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রের নাম মেহবাহুল হক লালন (১৯)। সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামের জলাই মন্ডলের ছেলে। সে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।
পারিবারিক ষুত্রে জানা যায়, দেড় মাস আগে ফুটবল খেলার সময় ডান হাতের হাড় ভেঙ্গে যায় লালনের। স্থানীয় কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করে সুস্থ হলেও মাঝে মাঝে হালকা ব্যাথা অনুভব করে সে।
বুধবার সকালে হাড় বিশেজ্ঞ ডাক্তার জিল্লুর রহমান সিদ্দিককে দেখালে তিনি বলেন অস্ত্রপচার করার পারামর্শ দেন। তার পরামর্শে ওই শিক্ষার্থীকে শহরের এহিয়া নার্সিং হোমে ভর্তি করানো হয়। লালনের দুলাভাই মজিবর রহমান বলেন, বুধবার রাত ১০ টার পরে লালনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে আস্তে আস্তে জ্ঞান হারায় লালন। পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লালনের হালকা সমস্যা হয়েছে জানিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর নেওয়ার পরামর্শ দেন। তাৎক্ষণিক ভাবে এ্যাম্বুলেন্সে করে দিনাজপুর নেওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে লালন।
লালনের বাবা জলই মন্ডল বলেন, ডাক্তার বলেছিল হালকা অপারেশন সে জন্য ছেলেকে নিয়ে গেছিলাম। আগে জানলে কসাই খানায় নিয়ে যেতাম না ছেলেকে।
অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে শ্বিবিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলাম স্বপ্ন আমার খালি হয়ে গেল বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন লালনের বাবা।
এ বিষয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক জিল্লুর রহমান কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।