বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের পুলহাট উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে স্থাপিত হয়। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে স্কুলটির তেমন উন্নয়ন হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী প্রায় ৪শতাধিকের মতো। উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মামুনুর রশীদ এর নামে উঠেছে দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ। তিনি নিজ ক্ষমতা বলে এবং কমিটির বাকি সদস্যদের সাথে কোন রকম পরামর্শ বা রেজুলেশন ছাড়াই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিজের ইচ্ছা মতো নির্ধারণ করেছেন বলে প্রতিবাদ জানান,পুলহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক- কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির বাকি সদস্যরা।
এ নিয়ে চরম বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে উক্ত বিদ্যালয়ে।
জানা যায় সভাপতি মামুনুর রশীদ তার আপন চাঁচি ও অবসরপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল জলিল সাহেবের স্ত্রী নাছিমা আক্তার কে নিজস্ব ক্ষমতার বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে নিয়োগ প্রদান এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
যা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের অজান্তেই ঘটিয়েছেন স্বেচ্ছাচারী সভাপতি মাৃুন।
তাছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে কোন রকম রেজুলেশন বা পরামর্শ চলতি দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দিয়েছেন।
দুর্নীতি এবং অনিয়মের শেষ নেই উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি মামুনুর রশিদের।
নাছিমা আক্তার কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পুন: বহাল করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুরে সভাপতি মামুনুর রশীদসহ তার দলবল নিয়ে উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আসলে অভিভাবক, এলাকাবাসী, ছাত্র শিক্ষকরা তাদের ধাওয়া করলে তাড়া খেয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: মজিবুর রহমান জানান, পদাধিকার বলে আমি বৈধ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েও নানা ষড়যন্ত্র শিকার হচ্ছি।
সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার কারনে ৫ মাস ধরে শিক্ষক কর্মচারীদের বিল- বেতন উত্তোলন করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন চলছে।
এই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে আরো জানা যায় দুর্নীতি ও কুচক্রের পিছনে লম্বা হাত রয়েছে অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (৭ মাস হচ্ছে গত হবার) মোঃ আব্দুল জলিলের।
মোঃ মামুনুর রশীদ তিনি যে সভাপতি হয়েছেন এর পেছনেও রয়েছে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র ও কুচক্রের হাত। বিদ্যালয়ের কাম কম্পিউটার পদ না থাকা সত্বেও সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল এর স্ত্রী নাছিমা আক্তার প্রায় ২০ বছর যাবত বেতন উত্তোলন করছেন। বর্তমানে তিনি কোনো রকম রেজুলেশন ছাড়াই নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাবি করছেন।
এ বিষয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: মামুনুর রশীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।