দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামী মোঃ নাজিবুল ইসলাম @ নাজিমকে রংপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩ সদস্যরা।
গত ১৯মে দুপুর আড়াইটার দিকে র্যাব-১৩,ব্যাটালিয়ন সদর এবং সিপিসি-১,দিনাজপুরের যৌথ অভিযানে রংপুর মহানগরীর কোতয়ালী থানার রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে হতে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ নাজিবুল ইসলাম ওরফে নাজিমকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামী মোঃ নাজিবুল ইসলাম (নাজিম), পিতা-মোঃ মাহাবুব আলম, গ্রামঃ উত্তর আটরাই, থানা-পার্বতীপুর, জেলা-দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার উত্তর আটরাই গ্রামের মোঃ মাহবুব আলমের ছেলে।
র্যাব জানায়,আসামী মোঃ নাজিবুল ইসলাম ওরফে নাজিম বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন উপায়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে ভিকটিম তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গতবছরের ২০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামী মোঃ নাজিবুল ইসলাম ওরফে নাজিম ভিকটিমকে ফুসলিয়ে ভিকটিমের বাড়ী হতে অনুমান ১৫০গজ দূরে বাঁশ ঝাড়ের আড়ালে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে। অতঃপর ভিকটিমকে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। আসামী গত ১০জানুয়ারী ভিকটিমকে একা পেয়ে জোরপূবক উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ভিকটিম না যেতে চাইলে এলাপাথারী চর থাপ্পর মারে এবং গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমর বাবা বাদী হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে, ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশাধনী-২০০৩) আইনের ৯(১) ধারা, ২০১২ সালের পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের ৮(১),(২) এবং ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ৩৪১/৩২৩/৩০৭/৫০৬ (২) ধারা মতে মামলা দায়ের করে। আসামী মোঃ নাজিবুল ইসলাম ওরফে নাজিম মামলার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে।
র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর এবং সিপিসি-১, দিনাজপুরের যৌথ অভিযানে উক্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এক পর্যায়ে তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৯ মে র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর এবং সিপিসি-১, দিনাজপুরের যৌথ অভিযানে রংপুর মহানগরীর কোতয়ালী থানার রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে হতে অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ নাজিবুল ইসলাম ওরফে নাজিমকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১৩ অধিনায়ক এর পক্ষে উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ বশির আহমেদ এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী স্বীকার করে, ভিকটিমকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আসামীকে পার্বতীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।