বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গরু খামারীরা। কোরবানী ঈদ যতো ঘনিয়ে আসছে ততই খামারীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল সহ বিভিন্ন স্থানে অনেকেই ছোট-বড় গরুর খামার তৈরি করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। বিগত বছর গুলোতে ভালো দাম পেয়ে থাকলেও এ বছর খামারিরা লাভ পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত, সব ধরনের গো-খাদ্যর দাম বৃদ্ধি, এবছর প্রচন্ড তাপদাহে বীরগঞ্জ উপজেলায় বিস্তীর্ন জমিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো দূর্বা (কাঁচা ঘাস) ও অন্যান্য চাষকৃত অধিকাংশ জমির কাঁচাঘাস রোদে পুড়ে বিনষ্ট হয়ে যাওয়ায় লাভ হবে না বলে মনে করছেন খামারিরা। কিন্তু অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় এ এলাকায় কৃষকরা গরু পালনে বেশি উৎসাহী হয়ে থাকেন,তাঁর কারণ একসাথে অনেক পুঁজি লাগে না, দিনে দিনে স্বল্প খরচ করার কারণে খামারিদের বাড়তি চাপ কম হয়, আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই পবিত্র ঈদুল আজ্হা তাই কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে তারা গরু লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ সময় কথা হয় শিবরামপুর ইউনিয়নে আজারি মিলনপুর গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি নেকবর আলি জানান, বর্তমান হাট বাজারে সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে তাছাড়া এবছর এবার খামারিরা গো-খাদ্য হিসেবে হাট- বাজার থেকে ভুষি সহ বিভিন্ন শুকনো খাদ্যের ওপর অনেকটা নিভরশীল হয়ে পড়েছে। খামরিরা জানান, প্রতি বস্তা ভূষি ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা , খড় ৫ থেকে ৬শ’ টাকা মণ, ফিড ২৫ কেজির বস্তা ৮ শ’ থেকে ১হাজার ৪০০ টাকা, গম চল্লিশ কেজি প্রতি বস্তা ১ হাজার ৫০০ টাকা, ভুট্টা ৪০ কেজির প্রতি বস্তা ১ হাজার ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খামারিরা বলেছেন, প্রচন্ড খরতাপে জোগালে গরুর শরীরে তুলনামূলকভাবে মাংস বাড়ছে না। তাছাড়া সব ধরনের গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গরুর উপর খরচ ভাঙছে বেশি তাই কোরবানির জন্য প্রস্তুত কৃত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার আশানুরূপ দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খামারিরা। খামারি নেকবর আলি প্রতিবেদককে জানান,যে, তিনি বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সবসময় পরামর্শ গ্রহন করেন । এব্যাপারে, বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মাসে মাসে খামার পরিদর্শন করে থাকেন । বিভিন্ন কর্মশালার মাধমে তিনি অনেক রোগ বালাই থেকে গরুকে মুক্ত করার পদ্ধতি শিখেছেন । উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: ওসমান গনি জানান, নেকরব আলির খামার অনেক বড় । তিনি একজন ক্ষুদ্র খামারি। তাঁকে দেখে গ্রামের অন্যান্যরা গরু পালনে উৎসাহিত হচ্ছেন। তার খামারের গরু জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অ লে সরবরাহ করা হচ্ছে। সামনে কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা কম-বেশি লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদী।