ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁয়ে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় শিশু ও গৃহবধূ নিহত এবং এক ভ্যান চালকের পরিবার সর্বশান্ত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার মমরেজপুর এলাকার এমএমএ ইট ভাটার সামনে বুধবার সকালে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে আলাল হোসেন (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার বড়দাখন্ড গ্রামের কফিল উদ্দীনের ছেলে।
জানা যায়, সকালে উপজেলার এমএমএ ইট ভাটার সামনে একটি ট্রাক্টরের ড্রাইভারের সিটের পাশে বসেছিল আলাল। ট্রাক্টরটি ইট ভাটার ভেতরে প্রবেশ করার সময় সে চলন্ত ট্রাক্টর থেকে লাফ দিলে ট্রাক্টরের মাঝের বাম পাশের চাকার নিচে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান , লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের উত্তর হাজিপুর গ্রামে বিদ্যুতায়িত হযে সুমি আক্তার (২৬) নামে গৃহবধূ মারা গেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজমিস্ত্রি মিলন আক্তারের স্ত্রী সুমি আক্তার নিজ ঘরে লাইট জ্বালাবার সময় বেড সুইচে হাত দিতেই তিনি বিদ্যুতে স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
অপরদিকে সদর পৌরসভাধীন তেলীপাড়া মহল¬ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বাবুল হোসেন নামে এক ভ্যান চালকের পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।
ভ্যান চালক বাবুল হোসেন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানান, তিনি সারাদিন ভ্যান চালিয়ে ক্লান্তশ্রান্ত শরীর নিয়ে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার ভোররাতে আগুনের উত্তাপে ঘুম ভাঙ্গলে তিনি ও তার পরিবারের ছয়জন সদস্য তিনটি ঘর থেকে কোন রকম ভাবে প্রাণ নিয়ে বের হতে পারলেও ঘরে রক্ষিত মেয়ের বিয়ের জন্য নগদ ২০হাজার টাকাসহ সকল মালামাল পুড়ে প্রায় ৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । এতে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। এখন তিনি তার মেয়ের বিয়ের খরচের টাকা কোথায় পাবেন সেই চিন্তায় কিছু খেতে পারছেন না।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার ফাহমিদার হোসেন জানান, ভোরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি গাড়ি দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুইঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক ভাবে বিদ্যুতের সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাতা হলে দ্রæত তা ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হয়।
এরিপোর্ট লেখা অবধি সরকারি কোন সহযোগিতা ওই পরিবারের কাছে পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে।