বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে লাগামহীন টেনে ধরে রাখা যাচ্ছে না পেঁয়াজের । কয়কদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। দু’দিন আগে রবিবার (৩০ জুন) প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা দরে। আর মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, ঈদুল আজহার আগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আসেনি। ফলে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে। কৃষকদের কাছ থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বীরগঞ্জ পৌরবাজারে বাজারখরচ কিনতে আসা রিকশা চালক সুকুমার রায় বলেন, ‘আমি দু’দিন আগেই ৭০ টাকা কেজি দরে কিনি পেঁয়াজ কিনেছি। আর আজ কিনলাম ৯০ টাকা কেজি দরে। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানেই প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বাড়লো ২০ টাকা। ঈদের চলে যাওয়ার পর কমছে পেঁয়াজের দাম। জানি না আরও যে কত দাম বাড়বে!’
আরেক ক্রেতা মো. ফরিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার সুযোগে তারা দেশি পেঁয়াজের দাম ইচ্ছেমতো বাড়াচ্ছেন। বীরগঞ্জে নিয়মিত বাজার মনিটরিং অভিযান না হওয়ার কারণেই পেঁয়াজসহ বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ১৫ দিন আগে প্রকিকেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এরপর ভারত থেকে একদিন পেঁয়াজ এলে তারা দাম কমিয়ে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করেন।’ দিন দিন পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। বিশেষ করে কয়েদিনের টানা বৃষ্টির কারণে তাদের আয় রোজকার কমে এসেছে।