তেঁতুলিয়া প্রতিনিধি\ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধায় পাথরের সাইট থেকে কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের বিশেষজ্ঞ সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিম। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে বাংলাবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে একটি ফাঁকা জায়গায় মর্টারশেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
জানা যায়, রোববার দুপুর ২টা ৮ মিনিটে বিজিবি ও পুলিশের সহযোগিতায় সিক্স ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের ডিসপোজাল টিমের কমান্ডার ক্যাপ্টেন রাকিব নেতৃত্বে ১২ জন সদস্য বিশিষ্ট বোম্ব ডিসপোজাল টিম সফলভাবে মর্টারশেলটি ধ্বংস করে। এ সময় মর্টার শেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ওই সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকাটি নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করে। বোমা ধ্বংস দেখতে এ সময় ওই এলাকার শতশত মানুষ ভিড় করে।
এর আগে গত ২৩ জুন দুপুরে এক নারী পাথরের সাইটে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মর্টারশেলটি কুড়িয়ে পান। পরে সেটি ভারী লোহা মনে করে স্থানীয় বাজারের আল আমিন ওয়ার্কশপের সামনে নিয়ে আসেন। এ সময় আলম নামের এক ভাঙরির দোকানদার তা কেজি দরে কিনে নেন। পরে সেটি মর্টারশেল বলে চিনতে পেরে স্থানীয়রা বিজিবি ও থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আল আমিন ওয়ার্কশপের একটি নিরাপদ স্থানে মর্টারশেলটি রাখেন।
সিক্স ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের টিমের ডিসপোজাল টিমের কমান্ডার ক্যাপ্টেন রাকিব বলেন, মর্টারশেলটি ৫১ মিলিমিটার প্যাকেট বোমা শনাক্ত করে। উক্ত মর্টারশেলটি মরিচা পড়ার কারণে এটার তৈরির বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
তেঁতুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, স্থানীয়দের কাছে পাওয়া মর্টারশেলটি বিজিবি তাদের ক্যাম্পের বাইরে সংরক্ষণ করেছিল। এটি আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে দুইবার একই ইউনিয়ন থেকে পাথরের এলাকা থেকে দুটি পরিত্যক্ত মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়। পরে থানা পুলিশ রংপুর সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল দলের মাধ্যমে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়।