বাজারে দাম নিয়ন্ত্রনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি বেড়েছে। ফলে বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা কমেছে কাঁচামরিচের দাম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হিলি বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে কেজিতে ১৭০-১৮০ টাকা দরে। বুধবার সন্ধ্যায় বিক্রি হয় ১৩০-১৪০ টাকায়। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের শহরের বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৪০ টাকা দরে।
জানা গেছে, বুধবার একদিনেই কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২ লাখ ২২ হাজার ৪৮০কেজি কাঁচামরিচ আমদানি করে।এসব মরিচ স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাচ্ছে।
জানা যায়, প্রতি টন কাঁচামরিচ ৫৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। কেজিতে সরকারকে ৩৯ টাকা আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ আমদানিতে খরচ পড়ছে ১০৫ টাকা। আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।
কাঁচামরিচ ক্রেতা সবুর হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ মরে গেছে। ফলে উৎপাদন কম হওয়ায় মরিচের ওপর চাপ বাড়ছে। মরিচ যেহেতু কাঁচা পণ্য তাই এর বাজার সবসময় এক থাকে না। সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কমে যায়। সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে।
আনিছুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, কাঁচামরিচ বেশি আমদানির খবরে বাজারে দাম কমেছে। সকালে কমলে বিকেলে বাড়ে। এক পোয়া মরিচ হলেই কদিন চলবে।
বিরামপুর নতুন বাজারে মরিচ নিতে বিক্রেতা সালাম হোসেন বলেন, দাম কিছুটা কম। ১২৫ টাকা কেজি দরে তিন বস্তা মরিচ ক্রয় করেছি। একদিন আগেই ১৫০টাকা কেজি দরে ক্রয় করেছিলাম।
হিলি স্থলবন্দর গণসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক সাংবাদিকদের জানান, কয়েকদিনের তুলনায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি বেড়েছে। মঙ্গলবার ২৩ ট্রাকে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫২০ কেজি এবং বুধবার ২৫ ট্রাকে দুই লাখ ২২ হাজার ৪৮০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে।