শনিবার , ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিরিরবন্দরে কাঠের সাঁকোই চলাচলের একমাত্র ভরসা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জুলাই ২৭, ২০২৪ ১০:৩২ অপরাহ্ণ

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও জোত সাতনালা ও দক্ষিণ আলোকডিহি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদীর উপর ফেকু বানিয়ার ঘাটে সেতু নির্মাণ করা হয়নি। ফলে দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ কাঠের সাঁকোর উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এ পথে চলতে গিয়ে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পথচারিরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাতনালা ইউনিয়নের জোত সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের দক্ষিণ আলোকডিহি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ফেকু বানিয়ার ঘাটে ইছামতি নদীর উপর দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ চলাচল করে আসছিলেন। এবছর ওই ঘাটে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী এ নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের নিকট দাবি জানান। সরকারিভাবে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুনীল কুমার সাহার উদ্যোগে এবং এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ কাঠের সাঁকোর ওপর দিয়েই চলাচল করছেন। আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষের এ কাঠের সাঁকোই এখন যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এলাকাবাসী এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের দাবি ৫২বছরেও পূরণ হয়নি। দীর্ঘদিনেও এখানে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিদিন এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকুরিজীবিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। নদীর দুই পাড়ে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও এই নদী পারাপার হতে হচ্ছে।
উপজেলার জোত সাতনালা গ্রামের বানিয়াপাড়ার কৃষক ফেরদৌস আলী (৩৫), বৃদ্ধ ফয়েজউদ্দিন ফয়েজ (৬৮), পন্ডিতপাড়ার আইনুল হক (৪০) জানান, আমরা তো অবহেলিত। ভোটের সময় অনেকেই সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। কিন্তু ভোট চলে গেলেই সেতু নির্মাণের কথা তারা ভুলে যান। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
আলোকডিহি ইউনিয়নের দক্ষিণ আলোকডিহি গ্রামের কিষ্টটহরির কৃষক আব্দুস সালাম (৫৪) জানান, আমার বাপ-দাদারাও এ ঘাটে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়েই নদীর দুই পাড়ে যাতায়াত করেছেন। পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের ও এবছর কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে সেতু নির্মাণ করা হলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হতো।
উপজেলার ২নং সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ্ ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে স্কুল ও মাদরাসা রয়েছে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ এই সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। ভুক্তভোগী মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুনীল কুমার সাহা বলেন, আমি এলাকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্টের কথা চিন্তা করে ব্যক্তিগতভাবে এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই স্থানে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

চীনের অর্থায়নে ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বীরগঞ্জে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

দেশের বড় ঈদ জামাত দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে একসাথে দুই লাখের বেশি মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়

বীরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত

খানসামায় কয়েলের আগুনে বাড়ি ভষ্ম, ৬ প্রাণীর মৃত্যু

হিলি কাষ্টমস্ সিএন্ডএফ এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন

ঠাকুরগাঁওয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণ

অটিজম মেধাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সরকার আন্তরিক -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

হরিপুরে এতিম শিশুদের মাঝে শীতবস্ত বিতরণ করলেন– হরিপুর উপজেলা ছাত্রলীগ

পীরগঞ্জের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ – ঠাকুরগাঁও সংবাদ

পীরগঞ্জে শিক্ষক সমাবেশ