বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বাল্যবিবাহ মুক্ত -এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সরকারী ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে যখন সভা-সেমিনার সহ প্রচার প্রচারনা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই মূহুর্তে দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামে প্যান্ডেল সাজিয়ে, আনন্দমূখর পরিবেশে গরু-খাসি জবাই করে দুপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠানের সব আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দিনাজপুর এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং স্থানীয় জনগন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের এলাকাবাসী হটলাইনে দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানায় যে, উলিপুর গ্রামে একটি বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ মূহুর্তে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ না করা হলে স্কুল পড়–য়া একটি মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা আপনার হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে চাই। ইউএনও তাৎক্ষনিক উপজেলা সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ওয়ার্ল্ড ভিশন দিনাজপুর এপির সিনিয়র ম্যানেজার অরবিন্দ সিলভেষ্টার গমেজ’কে উক্ত বাল্যবিবাহ বন্ধ করার দায়িত্ব দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় এবং দুপক্ষের অভিভাবকদের নিকট হতে অঙ্গিকার পত্র নেয় যে, তাদের কন্যার ক্ষেত্রে ১৮ বছর এবং পুত্রের ক্ষেত্রে ২১ বছর পূর্ণ না হলে তারা তাদের বিবাহ দেবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহা: আব্দুর রহিম, দিনাজপুর এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার অরবিন্দ সিলভেষ্টার গমেজ, ইউপি সচিব, স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রোগ্রাম অফিসার যোহন মুর্মু, পলাশ ক্রুশ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের শিশু ও যুব ফোরাম কমিটির এবং ভিডিসি সদস্যবৃন্দ। বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে স্কুল পরুয়া শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে। উল্লেখ্য, দিনাজপুর এপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন দীর্ঘদিন ধরে তাদের কর্ম এলাকায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে, শিশু সুরক্ষা, শিশু শ্রম বন্ধসহ শিশুদের মৌলিক স্বপ্ন পূরণসহ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ব্যাপক গণসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে।