বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির মাধ্যমে চার বছর ধরে চলছে চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস মেনেজম্যান্ট কলেজে। সেই সঙ্গে হচ্ছে না কমিটিও। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ১ একর জমির উপর কলেজটি স্থাপিত, জমিদাতা হিসেবে মোঃ আবু সাঈদ, মাজেদুর রহমান ও নুর ইসলাম।
উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের আরাজি গোবিন্দপুর মৌজায় শিক্ষানুরাগী শাহিনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণের দান-অনুদান- সার্বিক সহায়তায় স্থাপিত হয়েছে চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস মেনেজম্যান্ট কলেজ।
প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস মেনেজম্যান্ট কলেজ পরিচালনায় মুখ্য ভুমিকা পালন করেন শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহিন। কিন্তু এলাকাবাসী ও অনেক অভিভাবকরা শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহিনের একক আধিপত্য ধরে রাখতেই নতুন কমিটি হতে বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন। শুরুতে কলেজ উন্নয়নে অনেকে ভুমিকা রাখলেও শাহীন চৌধুরীর ব্যপক অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে পরবর্তীতে কেউ কেউ কেটে পড়েছেন, তারা এখন আর তাকে সাপোর্ট করেন না।
শাহীন চৌধুরী একক ক্ষমতাধর হওয়ায় বিধি বহির্ভূত তার স্ত্রী জিন্নাত মহল বেগম কে ওই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন, যার ইনডেক্স নম্বর-৩০০৬০৫৮ এবং ইংরেজি ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিষ্ঠানের নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মোঃ মতিয়ার রহমান অভিযোগ করে বলেন, জিন্নাত মহল বেগমের প্রশিক্ষণ সনদ সঠিক নয়, জাল এবং ভূয়া বলে প্রমানিত হয়েছে।
অভিযোগ সঠিক মর্মে প্রমাণ হওয়ায় জিন্নাত মহল বেগমের বেতন বন্ধ ও বরখাস্ত হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক প্রতি ২ বছর মেয়াদি ১ টি ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন নিয়ে ঐ অনুমোদিত কমিটির নির্দেশনায় পরিচালিত হবে।
অথচ এ নিয়মকে অনুসরণ না করে মেয়াদোত্তীর্ণদের দিয়েই চলছে চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের কার্যক্রম এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজয় রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত ২০১৯ সালে ১৩ সদস্যের একটি ছক করা ফরমেটে কমিটির সভাপতি এবং ছকে অন্যান্য সদস্যের নাম থাকলেও ৬ নং ক্রমিকে অভিভাবক সদস্য মহিলা এবং ৯ নং কমিটি শিক্ষক প্রতিনিধি মহিলার নাম ছাড়াই দুই বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন প্রাপ্ত হয়।
যাহার দপ্তর স্মারক নম্বর-৫৭.১৭.০০০০.৪০২.০৫.০৫৬ ১৯.৭২৭/ ১২৯৮ তারিখ: ১৫.১২. ২০১৯ খ্রিঃ।
পরবর্তীতে কমিটি অনুমোদনের আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নি অর্থাৎ বিগত ৪ বছর থেকে অনুমোদন বিহীন চলছে চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ।
প্রতি মাসে এ কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি সরকার কে বহন করতে হয়। নানা অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের কার্যক্রম নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে।
এ ব্যপারে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সভাপতি চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখব।