এসএম মশিউর রহমান সরকার, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ “আশ্রয়ণের অধিকার
শেখ হাসিনার উপহার” এ স্লোগানকে সামনে রেখে আজ রবিবার ২০ জুন ২০২১ সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে প্রায় ৫৪ হাজার ছিন্নমূল,গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারের হাতে জমির দলীল ও ঘরের চাবি তুলে দিয়ে উদ্ধোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বালিয়াডাঙ্গীতে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৮শত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও বাড়ির প্রতিকী চাবি হস্তান্তর করা হয়।
একযোগে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৮’শ ছিন্নমূল, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলীল ও ঘরের চাবি তুলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.যোবায়ের হোসেন ও থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুল হক প্রধান।
এ ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, উপজেলার বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংবাদিকগণের উপস্থিতিতে ৮ ইউনিয়নের লোহাগাড়া ও রায়মহল- আধারদিঘীসহ মোট ৩৯ এলাকার/গ্রামের সুফলভোগীদের হাতে ঘরের চাবি ও নিজ নামিও দলিল হস্তান্তর করা হয়।
২০২০ সালের শেষ ভাগে শুরুহয়ে-২০২১ সালের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের নামকরণের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ও ইতিহাস”
১৯৯৭ সালের ১৯ মে কক্সবাজার জেলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হওয়ায় বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। তদানীন্তন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ মে ঐ এলাকা পরিদর্শনে যান।
তিনি মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন এবং সকল গৃহহীন পরিবারসমূহকে পুনর্বাসনের তাৎক্ষনিক নির্দেশ দেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালে “আশ্রয়ণ” নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিন (০৩) টি ফেইজে আশ্রয়ণ প্রকল্প (৯১৯৭ – ২০০২), আশ্রয়ণ প্রকল্প (ফেইজ – ২) (২০০২ – ২০১০), আশ্রয়ণ – ২ প্রকল্প (২০১০ – ২০২২) মোট ৩১৯,১৪০টি পরিবার পুনর্বাসন করা হয়, তন্মধ্যে আশ্রয়ণ – ২ প্রকল্পের মাধ্যমে ২১৩,২২৭টি পরিবার পুনর্বাসন করা হয়েছে। বর্ণিত প্রকল্পের সাফল্য ও ধারাবাহিকতায় ২০১০-২০২২ (সংশোধিত) মেয়াদে ২.৫০ লক্ষ ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
পুনর্বাসিত ভূমিহীন, গৃহহীন, দুর্দশাগ্রস্ত ও ছিন্নমূল পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ভূমির মালিকানা স্বত্বের দলিল/কবুলিয়ত সম্পাদন, রেজিষ্ট্রি ও নামজারী করে দেয়া হয়। পুনর্বাসিত পরিবার সমূহের জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, মসজিদ নির্মাণ, কবর স্থান, পুকুর ও গবাদি পশু প্রতিপালনের জন্য সাধারণ জমির ব্যবস্থা করা হয়।