দিনাজপুর প্রতিনিধি \
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভয়ংকর দানবের পতনের মধ্য দিয়ে দেশ মুক্ত হয়েছে।শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন বন্দুকের গুলিতে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে ক্ষমতায় থেকে যাবেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে ৮শ গুম হয়েছেন, অসংখ্য নিহত হয়েছেন। রুহুল কবির রিজভী প্রতিটি গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দিনাজপুরে গুলিতে আহত আব্দুর রশিদের শিশু কন্যা ও তার পরিবারকে দেখতে যান কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দিনাজপুর শহরের রাজবাড়ী কাটাপাড়া এলাকায় আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম রতœা এবং তাদের শিশু কন্যাদের খোজ খবর নেন। এসময় আহত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কবি রিজভী।
এসময় রুহুল কবির রিজভীর সাথে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আরিফুর রহমান তুষার, জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল,সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহাম্মেদ কচি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রুহুল কবির রিজভী দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচির পাহাড়পুরস্থ বাসভবনে ৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত বাবুর স্ত্রী শারমিনের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। নিহত বাবুর বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায়।
উল্লেখ্য, গত ৪আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দিনাজপুর সদর হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ হয় আব্দুর রশিদ। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় চিকিৎসা নিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন আব্দুর রশিদ। চিকিৎসা সেবা করাতে তার সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দিয়েছিল। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সে শিশু কন্যাকে মায়ের কোলে ফিরিয়া দেওয়া হয়।