শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবম্বলীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। আর পূজার প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। শিল্পীরা রাত-দিন প্রতিমা তৈরী করতে দেখা যাচ্ছে শহর ও গ্রামীণ জনপদের দূর্গা পূজা মন্ডপ ও মন্দিরগুলোতে। প্রতিমা তৈরীর কারিগর বা শিল্পীরা তাদের পরিশ্রম দিয়ে প্রতিমা তৈরীতে প্রতিযোগীতায় নেমেছেন বলে অনেকেই জানান। চলতি এই শরৎকালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবম্বলীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। গতবছরের তুলনায় এবছরও দিনাজপুরের ১২৮২টি দূর্গা পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিমা তৈরীর শিল্পীদের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে।
কাহারোল কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর সুকুমার চন্দ্র রায় জানান, আমি এবছর ৪টি দূর্গা মন্ডপে দূর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছি। একটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে প্রায় ১৮দিন সময় লাগে। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে মজুরি হিসেবে ৩৫ হাজার টাকা পেয়ে থাকি। তবে পূজার শুরুর আগেই প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পূর্ন করার চেষ্ঠা করছি।
দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় পূজা মন্ডপগুলো সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ দূর্গামন্ডপে প্রতিমা তৈরীতে কাদা-মাটি, বাঁশ, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিল তিল করে গড়ে তোলা দেবী দূর্গার প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। আবার কোনো কোনো প্রতিমায় মাটি-কাদা লাগানোর পর এখন পুরোদমে প্রতিমার গায়ে রং তুলি দিয়ে রং লাগাচ্ছেন।
উল্লেখ্য,এবার জেলার দিনাজপুর সদরে ১৬৭, বিরল ৯৭, পার্বতীপুর ১৫৪, ফুলবাড়ী ৬১, চিরিরবন্দর ১৫৭, বোচাগঞ্জ ৬৬, খানসামা ১৩৪, হাকিমপুর ২২, বীরগঞ্জে ১৬৩, বিরামপুরে ৪০, নবাবগঞ্জ ৭০, কাহারোলে ১১২ ও ঘোড়াঘাটে ৩৯টি প্রতিমা মন্ডপ তৈরী হচ্ছে।