দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার কমলেও জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা বেড়েছে। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১লাখ ১২ হাজার ১১৫জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছেন ৮৬হাজার ৯৫৪জন। পাশের হার ৭৭.৫৬। এবার শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২৯৫জন।ছেলেদের চেয়ে ভালো ফলাফল করেছে মেয়েরা। মেয়েদের পাশের হার ৮১ দশমিক ০১ এবং ছেলেদের পাশের হার ৭৩ দশমিক ৯৭। এবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৯ জন।
রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষে অবস্থান রংপুর জেলার শিক্ষার্থীরা। এবারেও ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা জিপিএ-৫ এবং পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর স.ম. আব্দুস সামাদ আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
মঙ্গলবার দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছরে এই বোর্ডের অধীনে ৮টি জেলার মোট ৬৬৫টি কলেজের ৮৬ হাজার ৯৫৪জনকে কৃতকার্য দেখানো হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ হাজার ১৮৫জন ছাত্র ও ৮ হাজার ১১০জন ছাত্রী। গত বছরের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এবং জিপিএ-৫ এর সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে। তবে ছেলের তুলনায় মেয়েরা জিপি-এ ৫ এবং পাসের সংখ্যা বেশী পেয়েছে। গত বছরে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় ১লাখ ১০হাজার ৮৭৬জন আর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৬হাজার ৪৫৯জন।আর এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪হাজার ২৯৫জন পেয়েছেন।
রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছেন রংপুর জেলার শিক্ষার্থীরা। এই জেলায় মোট ৪হাজার ৮৬৫জন জিপিএ-৫পেয়েছেন। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন দিনাজপুর জেলার শিক্ষার্থীরা, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩হাজার ১১০জন। এছাড়াও ১হাজার ৭৮৮জন জিপিএ-৫ নীলফামারী, ১হাজার ৪৯৮জন জিপিএ-৫ গাইবান্ধা, ১হাজার ১০৫জন জিপিএ-৫ ঠাকুরগাঁও, ৯০৩জন জিপিএ-৫ কুড়িগ্রাম, ৬০৬জন জিপিএ-৫ লালমনিরহাট এবং ৪২০ জন জিপিএ-৫ পঞ্চগড় পেয়েছে।
পরিসংখ্যানে জানানো হয়, এবারে দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে আটটি জেলার ৬৬৫ প্রতিষ্ঠানের মোট এক লাখ ১২ হাজার ১১৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৮৬ হাজার ৯৫৪ জন পাস করেন। পাসের হার ৭৭.৫৬ শতাংশ।
এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২৯৫ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রী আট হাজার ১১০ এবং ছাত্র পেয়েছে ৬ হাজার ১৮৫ জন। যা গতবারের চেয়ে ৭ হাজার ৮৩৬ বেশি।
প্রাপ্ত ফলাফলে এবারে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৯০.৭৮ শতাংশ, মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৭৩.৩৫ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাশের হার ৬৪.৪৫ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেরা ৭৩.৯৭ শতাংশ এবং মেয়েরা ৮১.০১ শতাংশ পাস করেছে।
এবারের পরীক্ষায় মোট ৩৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। শতভাগ পাস করেছে ১৫ প্রতিষ্ঠানের এবং দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার ২০টি কলেজের একজনও পাস করতে পারেনি। গতবছরের চেয়ে আরও বেড়েছে শুন্য ফলাফল প্রাপ্ত কলেজ সংখ্যা।
এবার ভিন্নআঙ্গিকে এইচএসসি ফলাফল প্রকাশ করা হলো। সরাসরি বোর্ড চেয়ারম্যান ফলাফল ঘোষনা করেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারনে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারন করা হয়েছে। সকাল ১১টায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান প্রফেসর স,ম আব্দুস সামাদ আজাদ ফলাফল ঘোষনা করেন।
অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল খারাপ হয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন,এবার ফলাফল সন্তোষজনক তবে চলাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কাজকর্ম করে লেখাপড়া করতে হয় এ কারনে আর্থসামাজিক কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
এই ফলাফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাস করে তাদেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কেউ বলেছেন চিকিৎসক হবেন আবার কেউ শিক্ষকতা।
দিনাজপুর হলিল্যান্ড কলেজে শতভাগ পাশের পিছনে সাফল্যের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমিনুর রাব্বি বলেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতির পাশাপাশি টেবিলে বসিয়ে না রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াটা আদায় করিয়ে নেই।