“ডিমে পুষ্টি, ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি”-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের আয়োজনে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে ডিম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুর রহিম।
বিভিন্ন স্কুলে ডিমের পুষ্টি, গুন ও মানের তাৎপর্য তুলে বক্তব্য রাখেন জেলা ভেটেরিনারী অফিসার ড. আশিকা আকবর তৃষা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম কিবরিয়া। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিদকার সংরক্ষন দপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম। শিক্ষার্থীদের মাঝে ডিম বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথি জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, ডিম সুস্বাদু, পুষ্টিগুণে ভরা আর সহজলভ্য এক খাবার। ছোট এই খাবারে রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় ১৩টি পুষ্টিগুণ। আবার টেকসই প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে এর স্থান সবার ওপরে। তাই ডিম সবার খাওয়া প্রয়োজন। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধের জন্য অন্তঃসত্ত¡া মায়েদের প্রতিদিন ডিম খাওয়া প্রয়োজন। কারণ ডিমে আয়রন রয়েছে, যা শরীরে খুব সহজে শোষিত হয়, বিভিন্ন কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং আয়রনের অভাবজনিত রোগ যেমন রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে। ডিমে বিদ্যমান ভিটামিন এ, ডি, ই, কোলিন, ফোলিক এসিড এবং আয়রনসহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে, যা শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের হরমোনের ইমব্যালেন্স রোধে, বিভিন্ন এনজাইমের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে এবং স্বল্প সময়ে এনার্জি পাওয়ার জন্য ডিম খুবই উপকারী। ডিমে টাইরোসিন এবং ট্রিপটোফেন নামক দুটি অ্যামাইনো এসিড রয়েছে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। দেশে মোট মৃত্যুর ৩৪ শতাংশের পেছনে আছে হৃদযন্ত্র ও রক্তনালির রোগ। দেশে প্রতি চারজনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। আপনার সন্তানদের ফাস্ট ফুট বা জ্যাক ফুট না খাইয়ে প্রতিদিন অন্তত ১টি করে ডিম খেতে দিন। এতে যেমন মেধার বিকাশ ঘটবে তেমনি শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ডিমে যে পুষ্টি রয়েছে তা তোমাদের বাড়ির আশ-পাশের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন করবে।