মোঃ শামসুল আলম, বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\ অবশেষে সম্মানের সহিত দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুঝে পেলেন মোহাম্মদ রফিকুল্লাহকে। গত ১৭ অক্টাবর বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টার সময় মাদ্রাসার বেশ কিছু শিক্ষার্থী এই অধ্যক্ষকে রিসিভ করে মাদ্রাসায় নিয়ে আছেন। এসময় অপেক্ষারত শিক্ষক/শিক্ষার্থীরা তাকে ফুলের সুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষক হলরুমে সংক্ষিপ্ত আালোচনা সভায় মিলিত হন। মাদ্রসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল্লাহ এর সভাপতিত্বে সভায় মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ৫আগস্টের পর সারা দেশে অনেক নামিদাবি মানুষ হেনস্থা হয়েছেন, আবার সম্মানীত হয়েছেন। সেদিক থেকে আমাদের অধ্যক্ষ সাময়িক ভাবে আমাদের এবং ছাত্রদের দ্বারা হেনস্থা হয়েছেন। আবার আল্লাহর অশেষ রহমত ও কুদরতে তিনি মর্যাদাবান হয়ে স্বপদে দায়িত্ব বুঝে পেয়েছেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রফিকুল্লাহ বলেন, মানুষ কর্মের দ্বারা সম্মানীত হয় আবার কর্মের দ্বারা অপমানিত হয়। আমি শিক্ষক বা ছাত্রদের ব্যবহারে কষ্ট পাইনি। এই চেয়ারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার দ্বারাই হয়তো আপনারা কষ্ট পেয়েছেন, এজন্য আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আসুন আমরা অতীতের সকল দুঃখ, কষ্ট ও ক্ষোভ ভুলে এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলি। এছাড়াও সভায় সহকারী অধ্যপক ইংরেজি মোঃ তরিকুল ইসলাম, আরবি শিক্ষক মোঃ মামুন বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ থাকে যে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষক/শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এই অধ্যক্ষ ইসতেফা পত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বশেষ জারীকৃত পরিপত্র অনুযায়ী জোর করে পদত্যাগ করালে তা গ্রহন যোগ্য হবেনা, যে কারণে ১৯সেপ্টেম্বরের এই ইসতেফা পত্রটি সরকারী গ্রহন করা হয়নি।