২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এইচপিভি টিকা ক্যাম্পেইন
বাংলাদেশে প্রতি বছর পাঁচ হাজার নারী জরায়ুমূখ
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়-পঞ্চগড় সিভিল সার্জন
পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, বৈশ্বিকভাবে সাধারণত নারীরা যে সকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তার মধ্যে জরায়ুমূখ ক্যান্সার চতুর্থ সর্বোচ্চ। বাংলাদেশী নারীদের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে প্রতি এক লক্ষ নারীদের মধ্যে ১১ জন জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রতি বছর প্রায় পাঁচ হাজার নারী মৃত্যুবরণ করেন। জরায়ুমূখ ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। এই টিকা জরায়ুমূখ ক্যান্সার রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। ১০ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের এক ডোজ এইচপিভি টিকা প্রদান করার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
তিনি গতকাল বুধবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে জরায়ুমূখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা সম্পর্কিত জেলা সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহেল সুলতান জুলকারনাইন কবির স্টিভ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, জেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল মালেক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমেশ চন্দ্র মজুমদার, আনসার ও ভিডিপি সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট তৌহিদ উজ জামান, জেলা তথ্য অফিসার হায়দার আলী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্ভিল্যান্স ইম্যুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. সিফাত জাহান, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের ইম্যুনাইজেশন অফিসার (পাথ) ডা. শফিউল আলম ও জেলা ইপিআই সুপারভাইজার হাসিবুর রহমান শাহ লাবু।
সভায় জানানো হয়, পঞ্চগড় জেলায় জরায়ুমূখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা ক্যাম্পেইনে ৫৭ হাজার ১৩৮ জন কিশোরীকে এই টিকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়ে শিক্ষার্থী ৫৬ হাজার ৬২৩ জন এবং স্কুলে না আসা কমিউনিটির ৫১৫ জন। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ১০ দিন স্কুল পর্যায়ে এবং এর পরের ৮ দিন কমিউনিটিতে এই টিকা প্রদান করা হবে।