সোমবার , ৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাহুক নদীতে পাথর তুলতে না দিলে সংসার কেমনে চলবো, আমরা কর্মহীন হয়ে পরবো বলেন শ্রমিকরা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
নভেম্বর ৪, ২০২৪ ৪:৫৫ অপরাহ্ণ

তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় প্রতিনিধি:তেঁতুলিয়া উপজেলায় যে কয়েকটি নদীতে নুড়ি পাথর পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম ডাহুক নদী। গত কয়েক বছর আগে সমতল ভূমি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে বেকার হয়ে পড়ে কয়েক হাজার পাথর শ্রমিক। অনেকেই বাধ্য হয়ে পরিবর্তন করেছেন পেশা।তবে শ্রমিকদের একটি বড় অংশকে টিকিয়ে রেখেছে ডাহুক নদীর নুড়ি পাথর। কারন এই নদী থেকে ভেসে আসা নুড়ি পাথর উত্তোলন করে কোন রকম সংসার চালাচ্ছেন উপজেলার কয়েক হাজার পাথর শ্রমিক। তবে হঠাৎ করে পাথর উত্তোলনে প্রশাসন কতৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বেকার হওয়ার পথে এই সাধারণ শ্রমিকরা।
এদিকে সেই নদীতে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের দাবীতে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের কালিতলা ডহুক সেতু সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় পাথর উত্তোলন এসময় তারা সড়ক অবরোধ করে সড়কের উপর সমাবেশ করেন। এতে শালবাহান-হারাদিঘী পাকা সড়কে আটকে থাকে বিভিন্ন যানবাহন।
এদিকে সাধারন শ্রমিকরা বলছেন, এক সময় তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমতল ভূমি থেকে সনাতন পদ্ধতিতে প্রচুর পরিমাণে পাথর উত্তোলন হতো। এতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষের। তবে একি কুচক্রি মহল অবৈধ ভাবে ডেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করার কারণে বন্ধ হয়ে যায় পাথর উত্তোলন। এতে বেকার হয়ে পরে উপজেলার হাজার হাজার পাথর শ্রমিক। তবে পাথর উত্তোলন বন্ধ হলেও সরকার কর্তৃক শ্রমিকদের জন্য করা হয়নি কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। তবে শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে পরবর্তীতে নদীতে ডুবে ডাকি কোদাল দিয়ে পাথর তোলে কোন রকম করে চালাচ্ছে।আর এভাবে কয়েক বছর ধরে ডাহুক নদীর বিভিন্ন স্থানে এসব গরীব শ্রমিকরা দল বেধে পাথর উত্তোলন করে সংসার চালাচ্ছে। তবে হঠাং করে প্রশাসন কতৃক পাথর উত্তোলন নিষেধাজ্ঞা জারি করায় পাথর উত্তোলন করতে পারছে না শ্রমিকরা। ফলে বেকার হওয়ার পথে তারা। তাই তারা নদী থেকে পাথর উত্তোলনের দাবী জানান। নদীতে যে পাথর ভেসে আসে সেই পাথর উত্তোলন করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করি। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো আমরা গরীব মানুষরা যেভাবে নদীতে পাথর উত্তোলন করে আসছি। সেই ভাবে যেন করে যেতে পারি। সরকারের কাছে দাবি জানাবো আমাদের সাধারণ শ্রমিকদের মুখের আহার আপনারা এভাবে কেড়ে নিয়েন না।কিন্তু পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে আমার না খেয়ে মরে যাবো।
এবিষয়ে পাথর শ্রমিক নেতা হাাংন অর রশিদ বলেন,আমরা গরীব মানুষ। নদীতে যে পাথর ভেসে আসে সেই পাথর উত্তোলন করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু পাথর উত্তোল ন বন্ধ হয়ে গেলে আমার না খেয়ে মরে যাবো।
শ্রমিক নেতা মস্তানসের বলেন,আমরা সরকারের সব নিয়ম কানুন মেনেই পাথরের উত্তোলন করি। আমাদের পাথরে উত্তলোন যেন বন্ধ না হয় তাই একটি মহল কাজ করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো আমরা গরীব মানুষরা যেভাবে নদীতে পাথর উত্তোলন করে আসছি। সেই ভাবে যেন করে যেতে পারি। সরকারের কাছে দাবি জানাবো আমাদের সাধারণ শ্রমিকদের মুখের আহার আপনারা এভাবে কেড়ে নিয়েন না।
এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও শ্রমিক নেতা মুক্তারুল হক বলেন,তেঁতুলিয়ার হাজার হাজার পাথর শ্রমিক সমতল ভূমিতে পাথরে উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু সমতল ভূমিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ার তারা নদীতে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।আর এই নদীরে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে আমার শ্রমিকরা না খেয়ে মরে যাবে। তাই আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি শ্রমিকরা যেন আগের মত পাথর উত্তোলন করতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফজলে রাব্বি জানান, পাথর শ্রমিকরা সনাতন পদ্ধতিতে পাথর করার দাবীতে একটি স্মারক লিপি জমা দিয়েছে বলে তারা জানিয়ছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন’র বার্ষিক সাধারণ সভা

দিনাজপুরে ওয়ার্ল্ড ভিশন এর উদ্যোগে বেসিক ফর গার্লস প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ে ৫ চেম্বার বিশিষ্ট ওয়াশ বøক নির্মাণের উদ্বোধন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ নির্মানে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে –হুইপ ইকবালুর রহিম

পীরগঞ্জ পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হলেন যারা

রাণীশংকৈলে ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে আলোচনা

পীরগঞ্জে দুবরা ধাম মন্দির গীতা স্কুলের কমিটি গঠন

রাণীশংকৈলে সবোর্চ্চ করদাতাদের ক্রেষ্ট প্রদান

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসবে ১২ হাজার মেট্রিক টন আলু

পীরগঞ্জে প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে পদত্যাগ পত্র লিখে নেয়ার ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

রাণীশংকৈলে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত