বুধবার , ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেঁতুলিয়ায় পরিক্ষামূলক ভাবে ভিনদেশি ফল প্যাশন চাষ

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
নভেম্বর ১৩, ২০২৪ ৫:১৭ অপরাহ্ণ

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে একটি সুস্বাদু ভিনদেশী ফল প্যাশন চাষ। বাইরের দেশে ফলটির সবচেয়ে পরিচিত নাম ‘প্যাশন’। তবে অঞ্চলভেদে এর ভিন্ন নামও আছে, অনেকে বলে, আনারকলি আবার অনেকে বলে ট্যাং । যেমন দক্ষিণ আফ্রিকায় পরিচিত ‘পারপেল গ্রানাডিলা’ নামে। ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম প্যাসিফ্লোরা ইডিউলাস। মিষ্টি স্বাদ ও উপকারিতার কারণে অনেক দেশেই ফলটি বেশ জনপ্রিয়। জানা যায় ১৩ বছর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ভিনদেশী ফলের চাষ শুরু করেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সোহায়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে নওয়ার ফয়জুন্নেসা হলের আঙিনায় ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে প্যাশন ফলের দুটি চারা লাগান তিনি।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নে লোহাকাচি গ্রামের সাবেক কৃষি কর্মকর্তা আলহাজ্ব এমতাজ উদ্দীনের ছেলে মোঃ আবু রায়হান তাজ শালবাহান রোড বাজার সংলগ্ন শুকতারা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির জায়গায় পরিক্ষামুলক ভাবে একটি চারা লাগান তিনি। আবু রায়হান (তাজ) বলেন, চারা লাগানোর ৬ মাসের মধ্যে অল্প কিছু ফল ধরেছিল। তবে ৯ মাসের মধ্যে একটি গাছে প্রায় ছয়শত ফল ধরেছে। এই ফলটি বারো মাসি ফল। এই ভিনদেশী ফল সম্পর্কে তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ গ্রীষ্মকালে অনেক দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফলটি চাষ হয়। বাংলাদেশে এখনো বাণিজ্যিকভাবে এ ফলের চাষ শুরু হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এ দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী প্যাশন চাষ উপযোগী। তেঁতুলিয়ার মাটিতে আমি প্রথম ভিনদেশী ফল প্যাশন চাষ করেছি। আমাকে কৃষি অফিস যদি এ গাছটির বিষয়ে ভালো কিছু পরামর্শ দেয় আমি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করবো। এ ফলটি আমি জীবনের প্রথম কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে খেয়েছি অনেক সুস্বাদু ফল। তখন থেকে আমি এ চারাটি খোঁজা শুরু করি। অনেক কষ্টের মাঝে খোঁজ পেয়ে যশোহরের এক নার্সারী থেকে ১২০০ টাকার বিনিময় একটি চারা ক্রয় করি। এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে গ্রহণ করি। প্যাশন গাছে বছরে দুবার ফল ধরে। পূর্ণাঙ্গ ফল গোলাকার বা ডিম্বাকার। কাঁচা অবস্থায় এটি সবুজ হয়। তবে পরিণত অবস্থায় হলুদ বা গাঢ় বেগুনি রং ধারণ করে। ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রো-ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও আয়রন রয়েছে। এ ফলের জুস পটাশিয়ামের একটি বড় উৎস। ১০০ গ্রাম ফল খেলে ৯৭ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম ফলে ক্যালসিয়াম রয়েছে ১২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ২৯ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম ও জিংক ০.১ মিলিগ্রাম। এ ফলটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। হাঁপানি ও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও এই ফল বিশেষ উপকারী।
আবু রায়হান তাজ বলেন, ‘ঢাকার কিছু দোকানে এ ফল কিনতে পাওয়া যায়। এক কেজির দাম পড়ে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। ১ পিছ আমি ৪০ টাকায় খেয়েছি। আমাদের দেশে এত টাকায় এ ফল কেনা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। বাসা বাড়িতে এক ফালি উঠোন থাকলে অন্যান্য দেশীয় ফলের সঙ্গে এই বিদেশি ফলের চাষ অসম্ভব কিছু নয় বলে মনে করেন আবু রায়হান তাজ। তিনি বলেন, ছায়াযুক্ত স্থানে একটি প্যাশন ফলের চারা রোপণ করে নিয়মিত যত্ন নিলেই ১০ মাসের মধ্যে ফল খাওয়া সম্ভব। বাড়তি তেমন কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন নেই।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌস জানায়, ফলটি বিদেশি ফল। আমরা ওই উদ্দোক্তাকে ফলটির বিষয়ে সু-পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবো।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত
বীরগঞ্জের পল্লীতে কলেজে ছাত্রীর আত্নহত্যা

বীরগঞ্জের পল্লীতে কলেজে ছাত্রীর আত্নহত্যা

দিনাজপুরে ভূমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন

আটোয়ারীতে এবার শীতার্ত মানুষের পাশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

লংকাবাংলা ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণকালে চেম্বারের সাবেক সভাপতি

নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় গণমানুষের ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় ভাসছেন ‘মুক্তা’

বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা কেন্দ্রে উদ্ধারকৃত ৬টি বিরল প্রজাতির শকুন অবমুক্তির অপেক্ষায়

পীরগঞ্জ রপ্তানী যোগ্য আম উৎপাদনে মতবিনিময় সভা

বোচাগঞ্জে ২য় চেয়ারম্যানকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট এর উদ্বোধন

তেঁতুলিয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

বিরলে সড়ক দূর্ঘটনায় এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু