পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও জেলা সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের ব্যবস্থাপনায় পঞ্চগড়ে চালু হলো ন্যায্যমুল্যের বাজার। গতকাল বৃহষ্পতিবার সকালে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী বাজারের উদ্বোধন করেন। সরাকরি কৃষকদের উৎপাদিত শাক-সবজি বাজারের চেয়ে স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে সেখানে। ন্যায্যমূল্যের বাজারের শুরুর দিনই বেশ ভির লক্ষ্য করা গেছে।
পঞ্চগড় বাজারে যেখানে আলু বিক্রয় করা হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০ টাকায়, ন্যায্যমুল্যের এই বাজারে ওই আলু বিক্রয় করা হচ্ছে প্রতি কেজি আলু ৫৫ টাকা দরে। এখানে একজন ক্রেতা তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন। এছাড়া এই বাজারে পেঁয়াজ ৮০, সিম ৬০, করলা ২০, কাঁচা মরিচ ৬৫, লাল শাক ৩০, পালং শাক ২৫, বাধাকপি ৪০, মুলা ৩৫ টাকা দরে এবং লাউ প্রতি পিছ ২০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। স্থানীয় বাজারের তুলনায় ন্যায্যমুল্যের বাজারে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে শাক-সবজি কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
জেলা সদরের শিংপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, বাজারে সব পন্যের দাম বেশি মনে হয়। এখানে প্রতি সবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে কিনতে পারলাম। এই বাজার প্রতিদিন চালু রাখার দরকার। তাহলে কিছু হলেও কমে আমরা শাক-সবজি কিনতে পারছি।
সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের সভাপতি আহসান হাবিব বলেন, জেলা প্রশাসনের আহব্বানে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা এই ন্যায্যমুল্যের দোকান চালু করা হলো। সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও এখানে কম মুল্যে শাক সবজি কিনতে পারবেন। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমরা কৃষকের ক্ষেত থেকে সবজি কিনে এখানে বিক্রি করছি।
জেলা প্রশাসক সাবেদ আলী বলেন, কৃষকের ক্ষেত থেকে সবজিসহ বিভিন্ন পন্য কিনে ন্যায্যমুল্যের বাজারে স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে বিক্রি করা হবে। আপাতত একটি দোকানে প্রতি শুক্র ও শনিবার সপ্তাহে এই দুইদিন এই বাজারে কেনাবেচা হবে। এছাড়া দুইটি ব্যাটারি চালিত ভ্যানেও প্রতিদিন সকাল থেকে ভ্রাম্যমান বাজার হিসেবে শাক-সবজি বিক্রি করা হবে। পরবর্তিতে চাহিদা বাড়লে বাজারের পরিধিও বৃদ্ধি করা করা হবে।