আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিনা উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন ও উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের জাত বিনা ধান-১৭ এর প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ছয় ভাগিয়া গ্রামে উদ্যোক্তা কৃষক আবু সালেহ’র জমিতে বাংলাদেশ পরমানু গবেষণা ইনষ্টিটিউট রংপুর উপকেন্দ্র ও রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পরিবর্তিত আবহাওয়া উপযোগী বিভিন্ন ফসল ও ফলের জাত উন্নয়ন শীর্ষক কর্মসূচীর অর্থায়নে ধান কেটে মাঠ দিবসের উদ্বোধন করেন উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সঞ্জয় দেবনাথের সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় কৃষক-কৃষাণীদের উদ্যেশ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না।
বিশেষ অতিথি হিসবে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিনা উপকেন্দ্রের সিনিয়র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড.মুহাম্মদ আলী ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান কাশিপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বকুল প্রমুখ।
মাঠ দিবসে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাশিপুর ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মো.সজল। এসময় প্রায় তিন শতাধিক উপকারভোগী কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগণ জানান, বিনা উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন ও উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের জাত বিনা ধান-১৭ জীবন কাল মাত্র ১১৭দিন। চাষাবাদের খরচ এবং রোগবালাই কম হওয়ায় হেক্টর প্রতি এর সর্বোচ্চ ফলন ৮টন। জাতটি চাষাবাদের পদ্ধতি অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই। তবে এই ধানের আগাম ফলন হওয়ায় একই জমিতে শীতকালীন ফসল চাষ করা যায়। এতে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হন।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন বিনা ধান-১৭ এর জীবন কাল মাত্র ১১৫ থেকে ১১৭ দিন। ফলন বিঘা প্রতি ২৭ থেকে ৩০ মন। যা আগের আমন ধানের জীবন কাল ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ দিন এবং ফল হতো ১৮ থেকে ২০ মন এধানে ৫০% কম সার ও সেচ দিতে হয়। এ ধান আবাদ করলে একই জমিতে তিনটি ফসল অনায়সে করতে পারা যায়।