মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও জেলায় কোম্পানির প্রতিনিধির দেওয়া ভু’ল ঔষুধ প্রয়োগে একটি খামারে মারা গেছে প্রায় দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি মুরগি । ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩ নং- আকচা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মমিনুল হকের খামারে এ ঘটনা ঘটে। ৬ নভেম্বর রোববার ১৪ শ ৮০ টি এবং গত ৫ নভেম্বর শনিবারের ১৬ শ সহ ঐ খামারে মারা গেছে প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মুরগি। ক্ষতিগ্রস্থ খামারি মমিনুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মুরগি খামারের এ ব্যবসা করে আমার দুই ছেলে মেয়েকে বিশ্ব বিদ্যালয়ে ও স্কুলে লেখাপড়া করানো সহ সংসার চালিয়ে আসছি। কিন্তু এ ধরনের দূর্ঘটনা কখনো ঘটেনি। গত কদিন আগে এফ,এন,এফ, নামের একটি ঔষুধ কোম্পানির ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি মাহাবুব আমাকে মুরগীর ঠান্ডা ও সর্দির ঔষুধ টিআমোভেট দিতে বলে এবং বলে এ ঔষুধ প্রয়োগে মুরগীর কোন ক্ষতি হলে কোম্পানি তা দেখবে। তার কথামত আমি ১৬ হাজার টাকার ঔষুধ কিনে গত শুক্রবার খামারের ৪ হাজার সোনালি জাতের মুরগী গুলোকে খাইয়ে দেই। শনিবার থেকেই আমার মুরগী গুলো মরতে শুরু করে। ৪ হাজার মুরগীর মধ্যে ৩ হাজারের বেশি মুরগী মরে গেলে আমার তো আর কিছই থাকলোনা। মুরগী গুলোর বয়স ৪২ দিন করে হয়েছিলো। ৬০ দিন বয়স হলেই সেগুলো বিক্রি করতাম। আমার এ মুরগী গুলির পেছনে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বুঝতে পারছিনা এখন কি করবো। আমিতো পথে বসে যাবো। এ ঘটনার পর ঐ ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিকে ফোন করলে তিনি আর ফোন ধরছেন না। এফ,এন,এফ ঔষুধ কোম্পানির ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি মাহাবুব এর সাথে তার মুঠোফোনে ( ০১৭২২৩৫৬৬৬৯) কথা হলে তিনি বলেন, আমরা মমিনুলকে যে ঔষুধ দিয়েছি তা তিনি হয়তো সঠিক মাত্রায় দেননি। আমার তো এখানে কোন দোষ দেখছি না। তবে মমিনুলের খামারে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে আসা ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডা: আল মামুন জানান, টিআমোভেট নামের এন্টিবায়োটিক এ ঔষুধটি কোন ভাবেই সোনালি এ জাতের মুরগীর জন্য নয়। এ ঔষুধটি লেয়ার জাতের মুরগীর জন্য। এখানেই আসলে ভু’লটি করেছে ঐ কোম্পানির প্রতিনিধি ।