বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: উত্তরের দিনাজপুরের বীরগঞ্জে প্রচন্ড শীতে জনজীবন রীতিমতো জবুথবু হয়ে পড়েছে। সপ্তাহ ধরে সময় মতো আকাশে মিলছে না সূর্য্যের দেখা। যদিও মাঝে মধ্যে দুর আকাশে সূর্য্য উঁকি দিলেও জমিনে পড়ছে না তার প্রভাব। ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ঘনকুয়াশায় আরো বেড়ে যায় শীতের মাত্রা। যা পরদিন সকাল ৮ থেকে ১১ টার পর্যন্ত থাকে। এতে দিনমজুর শ্রমিক, জেলে ও কৃষকদের বেশি বেকায়দার ফেলে দিয়েছে। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে কর্মজীবি মানুষেরা এই প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে কাজ করছেন। এবার মৌসুমের শুরুতেই শীত প্রবল শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে জনজীবনে। প্রচন্ড শীতের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে চাইছেন না। ফলে হাট-বাজারে কমে গেছে মানুষের আনাগোনা। ব্যবসা বাণিজ্যে রীতিমতো মন্দা দেখা দিয়েছে। এদিকে-শীত থেকে রক্ষা পেতে গরম কাপড় ব্যবহার বেড়েছে। অনেকে গত বছরের পুরনো গরম কাপড় ব্যবহার করছেন। অনেকে আবার নতুন করে গরম কাপড় কিনছেন। এর মধ্যে কমদামে গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শীত থেকে রক্ষা পেতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেকরকম বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। শীতবস্ত্রের চাহিদা বাড়িয়ে বিভিন্ন ধরণের শীতের পোশাক তুলেছেন তারা। (১১ ডিসেম্বর) বুধবার সকালে উপজেলার সদর ঢাকা-পঞ্চগড় পাশে ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরম কাপড় কিনতে দামদর করছেন ক্রেতারা। কাপড়ের স্তুপে খোঁজছেন নিজের পছন্দের কাপড়। পরে পছন্দ হলে সাধ্যমতো দামে পেলে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন শীতার্ত মানুষজন।
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে গরম পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য গরম কাপড় কিনতে অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে।
এই অবস্থায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় গরম কাপড় কিনতে আসা
আনোয়ার হোসেন, আবুল কামাল ও মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার আগে ভাগে শীতে ধরিলিছে। বাঁচবার উপায় নাই। আমরা গরীব মানুষ কম দামে একটা বড় কাপড় কিনতে এসেছি। গত বছরের কাপড় নষ্ট গিয়েছে। তবুও লাগের ইবার একটু দাম বেশি। গরম কাপড় বিক্রেতা জামাল বলেন,আমাদের ফুটপাতের দোকানে ভালো ভালো কাপড় মিলে। এর মধ্যে জ্যাকেট, সুয়েটার সহ নানা প্রছন্দের কাপড় রয়েছে। আমরাও অল্প লাভে কাপড় বিক্রি করছি। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে গরম পোশাকের চাহিদা বেড়েছে।