“তেভাগার চেতনা ভুলি নাই- ভুলবো না”এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তেভাগা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন বিভিন্ন কর্মসুজী পালন করেছে তেভাগা পরিষদ দিনাজপুর।
শনিবার তেভাগা পরিষদ দিনাজপুরের আয়োজনে চিরিরবন্দর উপজেলার চেন্দু বটতলা তালপুকুর-বাজিতপুর গ্রামের সংযোগ স্থানে তৎকালীন আন্দেলনকারী সমিরুদ্দিন ও শিবরাম মাঝি বৃটিশ পুলিশের বর্বরোচিত গুলিবর্ষনে শহীদ হওয়ার স্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করা হয়।
প্রতিবছর ৪ জানুয়ারি শহীদদের স্মরণে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী শ্রেণি সংগ্রাম শুরু হয়েছিল তেভাগা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। তৎকালীন বৃটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে শাসকরা “জান দেবো তবু ধান দেবো না” এই শ্লোগান মুখরিত করে এবং একসময় তাদের বুকের রক্ত দিয়ে তেভাগা আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়ন করেছিল।মনে রাখবেন, কারো অধিকার কেউ হাসিমুখে দেয় না। এর জন্য আন্দোলন, লড়াই, সংগ্রাম করতে হয়। তেভাগার চেতনা আমাদের সেই চেতনায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আলোচনা সভায় জাতীয় কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হবিবর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন তেভাগা পরিষদ দিনাজপুরের সদস্য সচিব এ্যাডঃ মোঃ রেয়াজুল ইসলাম রাজু।তেভাগা দিবসের তাৎপর্য তুলে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদুল্লাহ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুলতান কামাল উদ্দীন বাচ্চু, ওয়াকার্স পার্টির দিনাজপুর কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, নাট্য সমিতির নাট্যাধ্যক্ষ তরিকুল আলম তরু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক এএসএম মনিরুজ্জামান মনির, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেত মজুর ও কৃষক ফ্রন্ডের মঞ্জুরুল আলম মিঠু।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোঃ সাইফুল ইসলাম, ষষ্ঠি দাস, শহীন সমিরণের নাতি হবি, নাতনি জোৎ¯œা, যমুনা, আব্দুল মালেক। কবি তুষার শুভ্র বসাক স্থানীয় কমিটির ব্যক্তি বিশ্বনাথ রায়, সত্যন চন্দ্র রায়, দয়ারাম রায়, শান্ত রায়, শাহা আলম, বিশিষ্ট নাট্যকার, নাট্য পরিচালক তারিকুজ্জামান তারেক এসময় উপস্থিত ছিলেন।