কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ কাহারোল উপজেলা এখন মাঠ জুরে পেঁয়াজের চাঁরা রোপন ও পরিচ্ছায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। শীত ও তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে কাক ঢাকা ভোর বেলা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত পেঁয়াজ চাষিরা তাদের জমিতে পেঁয়াজের চাঁরা রোপন ও পরিচ্ছা করছে দিনমজুর নিয়ে। উপজেলা কৃষি সম্প¯্রারণ অধিদপ্তর সূত্রে যানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১৭৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানায়। গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী’২৫) উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ চাষিরা তাদের পরিবার সদস্যদের নিয়ে পেঁয়াজের চারা তুলছেন কেউবা আবার আটি বাদছেন এবং পরিচ্ছা ও করছেন। সব মিলিয়ে অত্র উপজেলা বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে পেঁয়াজ চাষাবাদের মহা উৎসব চলতে দেখা যায়। উপজেরা মুকুন্দপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর, মহদিপুর গ্রামের পেঁয়াজের চারা বিক্রেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল কাদের বলেন, তারা এবার ১২ ও ২০ শতক জমিতে বিজ তোলায় পেঁয়াজের ৫কেজি বীজ বপন করছেন। তারা গত শনিবারের দিন কাহারোল হাটে পেঁয়াজের চারা বিক্রি করছেন প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মতো। তাদের মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। অপর চাষি মোঃ আব্দুল হামিদ জানান, আমি এবছর ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ আবাদ করেছি। অনেকেই আবার মন্তব্য করেছেন আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করি পেঁয়াজের ভালো ফলন হবে। তবে এবছর শ্রমিক, সার, ঔষধ, বীজের দাম বেশি তাই খরচ ও অনেক হারে বেড়ে গেছে। পেঁয়াজের ফলন ভালো না পেলে অনেক পেঁয়াজ চাষি লোকসানের আশংকা করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো যাতে হয়, সে জন্য কৃষি বিভাগ পেঁয়াজ চাষিদের সকল প্রকার সহযোগীতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে এবং লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে এবছর বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পেঁয়াজ উৎপাদন বারানো লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সর্বক্ষনিক কৃষদের পাশের্^ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।