“একভুবন, একভাষা- চাই সার্বজনীন ইশারা ভাষা” -এবারের এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা কার্যালয়, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র দিনাজপুরের আয়োজনে এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসমূহ দিনাজপুরের সহযোগিতায় বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গুঞ্জাবাড়ী বধির ইনস্টিটিউটের হলরুমে।
গত শুক্রবার বধির ইনস্টিটিউট গুঞ্জাবাড়ী দিনাজপুরের প্রধান শিক্ষক নাজনীন আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: ময়নুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মমতা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো: ইয়াকুব আলী, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু শাহ্ নেওয়াজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক অফিসার মো: মেহেদী হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিডিডি দিনাজপুর প্রজেক্টের প্রজেক্ট অফিসার শৈলেন চন্দ্র রায়, সম্প্রীতি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি তামজিদা পারভীন সীমা, জেনারেল হাসপাতালের সমাজসেবা অফিসার মো: মোজহারুল ইসলাম ও অভিভাবক সীমা বেগম। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: মুনির হোসেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী। তাদের জন্য যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হলো ইশারা ভাষা কিন্তু সমস্যা হলো একেক দেশের ভাষা একেক রকম। তাই প্রয়োজন সার্বজনীন ইশারা ভাষা চালু করা বাংলাদেশেই বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রায় ২ শতাধিক ইশারা ভাষা পরিচালিত রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ইশারা ভাষা দেশের অন্যতম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী সমাজ ও রাষ্ট্রের মানবসম্পদ। এরা আমাদের মতোই নিজেদের মেধা ও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে উন্নত জীবন ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।