হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। কর্মস‚চির অংশ হিসেবে শুক্রবার স‚র্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিকভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮.২৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনাম উল্যা এর নেতৃত্বে এবং প্রোভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির এর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কালো ব্যাচ ধারণ করেন। কালো ব্যাচ ধারণ শেষে ভাইস চ্যান্সেলর নেতৃত্বে মহান শহিদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে প্রভাত ফেরি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। প্রভাত ফেরিতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনাম উল্যা শহিদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন প্রোভাইস-চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. এমদাদুল হাসান। ক্রমান্বয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শাখার পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তাদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন, কর্মচারী সংগঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এরপর শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ভাইস-চ্যান্সেলর এর বাণী বিতরণ করা হয়।
বাণী বিতরণ শেষে ৯.৪০ মিনিটে টিএসসি প্রাঙ্গণে শিশুদের চিত্রাঙ্কন (শহিদ মিনার ও ভাষা আন্দোলনের উপর) প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠি তহয়। এছাড়াও মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সকাল ১১.৩০ মিনিটে সকল প্রতিযোগিতাসম‚হের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর।
এরপর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো.এনাম উল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আয়োজনে স্মারক ডাকটিকিট প্রদর্শনী ও বিক্রয় দিনাজপুর পেক্স ২০২৫ এর উদ্বোধন করেন। এছাড়া বাদ আছর ভাষা শহিদ ও সকল শহিদগণের আত্মারমাগফিরাত কামনা করে কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।