জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধিনে রাখার দাবীতে ১৩ মার্চ-২০২৫ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশন কর্তৃক ঘোষিত সময়সূচী অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুর জেলায় দিনাজপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস ও সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস চত্বরে “স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
এই কর্মসূচীতে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আফতাব উজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন, তথ্য সংগ্রহকারীসহ দিনাজপুর জেলার নির্বাচন পরিবারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, ভোটার তালিকার ডাটাবেজ হতে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) উৎপত্তি। গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনই ভোটার তালিকার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সকল কার্যক্রম সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করে আসছে। বিগত সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রথমে সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু রাজনৈতিক দলসহ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সকল স্টোক হোল্ডাররা চায় এটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকুক।
সম্প্রতি অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্বরাস্ত্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার আইন বাতিল করে তা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন- এর অধীনেই ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, আরেকটি কুচক্রী মহল আলাদা কমিশন গঠন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পরিচালনার ক্ষমতা হস্তগত করার পায়তারা করছে।
এর প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ৫ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাংলাদেশন নির্বাচন কমিশনের অধিনেই রাখার দৃশ্যমান উদ্যোগ নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল সরকার ও কমিশনের দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। কমিশন একমত পোষন করে ৯ মার্চ সরকারকে চিঠিও দিয়েছে। কমিশনে কাছ থেকে সাড়া পেলেও সরকারের পক্ষ থেকে আমরা এখনও কোনো কার্যকর সাড়া পাইনি।
তাই পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশন কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুর জেলয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে “স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” কর্মসূচী পালন করে। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ হতে কার্যকর কোন সাড়া না পেলে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশন কর্তৃক পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।